আপাতত প্রতি জেলায় ২০টি করে স্কুলকে বাছাই করা হয়েছে আদা চাষের জন্যে। আধিকারিকরা সেই স্কুলগুলোতে গিয়ে দেখিয়ে দেবেন, কীভাবে আদা চাষ করতে হয়। মূলত গ্রো ব্যাগের (পলিথিন দিয়ে তৈরি) মধ্যে আদার চারা পুঁতে চাষ হবে। সেটি ঘরের বারান্দায়, স্কুলের ছাদে ইত্যাদি স্থানে রাখা যাবে। তার জন্য বিঘের পর বিঘে জমি দরকার পড়বে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পায়রার নেশা! পাখিদের পরিচর্যায় হরেক ব্যবস্থা! আন্তর্জাতিক স্তরে স্বপ্ন উড়ানে প্রস্তুত জয়নগরের যুবক
দফতরের দাবি, স্কুলের শিশুরাও এই চাষ অনায়াসে করতে পারবে। রাজ্যে কমবেশি ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টন আদা উৎপাদন হয়। এই চাষ সব থেকে বেশি হয় দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ারেও কমবেশি চাষ হয়। কিন্তু ইদানিংকালে যেভাবে আদা গাছে রোগ ধরছে, তাতে মার খাচ্ছে উৎপাদন। অনেক কৃষক আদার চাষ আর করছেন না। তাই রাজ্যজুড়ে আদার ফলন বৃদ্ধি করতে স্কুলগুলোকেই একপ্রকার টার্গেট করেছে উদ্যানপালন দফতর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই চাষ করতে কোনও বড় প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তাই স্কুলের শিশুরা এই পদ্ধতি শিখে নিলে তাদের থেকে অভিভাবক এবং শিক্ষকরাও বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন। দফতরের আধিকারিকেরা মনে করছে, এভাবে স্কুল ও বাড়িতে আদার চাষের প্রবণতা বাড়লে রাজ্যের সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া মিড ডে মিল তৈরিতে আদা লাগলে স্কুলের বাগান থেকেই সেটা সরবরাহ করা যাবে।