সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের একজন সদস্য সুনীলবাবু। তাঁর তৎপরতায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে পাঁচটি বাংলাদেশি ফিশিং বোট ভারতে ফিশিং করার সময় ধরা পড়ে। তাঁদের তৎক্ষণাৎ আটক করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে আটক থাকা ৪৭ জন মৎস্যজীবীকে দ্রুত ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেছেন সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র। তিনি জানিয়েছেন, “এঁরা বঙ্গোপসাগরের এই অঞ্চলটাকে ঘরের উঠোনের মতো চেনেন। তাই তাঁদের ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড চোখ বলে মানে।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ এক ছাদের তলাতেই কত কিছু! আলিপুরদুয়ারে অভিনব মেলার আয়োজন, কেনাকাটা করতে খদ্দেরদের ভিড়
ইতিমধ্যেই আইসিজি-র কমান্ডেন্ট এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সুনীল দাসকে পুরস্কৃত করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সন্দেহজনক জলযান, সন্দেহজনক ব্যক্তি দেখলেই স্থানীয় থানা, কোস্টগার্ড, মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনে জানাতে বলা হয়েছিল। সুনীলবাবু সঠিকভাবে সেই কাজটি করেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সমুদ্র ছাড়াও নদী ও মোহনায় সন্দেহজনক কোনও নৌকা বা জলযান দেখলেও খবর দিতে বলা হয়েছিল। সুনীল দাসের এই কাজে উৎসাহিত হবেন অনেকেই। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এমনটাই মনে করছেন। সঠিক সময়ে খবর দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে, ফলে দ্রুত কাজ হবে। তবে সুনীল দাসের একাই পাঁচটি বাংলাদেশি ট্রলার ধরিয়ে দেওয়ার খবর বাকি মৎস্যজীবীদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের কিছু দেখলে সকলেই খবর দেবেন বলে পণ করেছেন।






