দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সাধারণ জ্বর অথবা সাপে কাটার মতো মারাত্মক ঘটনা ঘটলে অনেকেই হাসপাতালে যাওয়ার আগেই হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে ছুটে যান। এই প্রবণতা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। এদিকে এই হাতুড়ে ডাক্তারদের বারবার স্বাস্থ্য দফতর থেকে বলা হয়েছে, জ্বর বা মশাবাহিত কোনও রোগ ধরা পড়লে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১৫ দিনে ২২০০ কিলোমিটার! বারুইপুর থেকে আজমীর শরীফ সাইকেলে যাত্রা একদল যুবকের
গত কয়েক মাসে এই হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা করিয়ে অবস্থার অবনতি হয় দু’জনের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই রোগীদের। এছাড়াও এক হাতুড়ে ডাক্তার নিজেই নিজের চিকিৎসা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁরও প্রাণ গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ ছিল। ওই ডাক্তারদের কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা। রোগীদের হাসপাতালে পাঠানোর বদলে দিনের পর দিন হাতুড়ে ডাক্তার চিকিৎসা চালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। পরে যখন শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে, তখন হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে রোগীকে। কিন্তু তখন আর বাঁচানো যায়নি।
এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, ‘আমরা এই ধরনের ডাক্তারদের বারবার সতর্ক করছি। তবুও অনেক গুরুতর রোগীকে ধরে রাখছেন তাঁরা। আমরা আবারও আবেদন করব, যাতে ওঁরা সব ধরনের রোগীর চিকিৎসা না করে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর ২, ভাঙড় ২ এবং ক্যানিং ২ ব্লক এলাকায় এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে। এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষজনকেই সচেতন হতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে হাসপাতালে গেলে সমস্যা মিটবে বলে মনে করছেন তাঁরা।






