দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে উদ্ধার মৃত মৎস্যজীবীদের নাম সঞ্জীব দাস, বাড়ি কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত পশ্চিম গঙ্গাধরপুর ও অপর মৎস্যজীবী রঞ্জন দাস। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটিকে গভীর রাতে নামখানা বন্দরে নিয়ে আসা হয়। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় তিনজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন।
advertisement
তিনজন মৎস্যজীবীর খোঁজে চলছে তল্লাশি। এ বিষয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহ মৎস্য আধিকারিক (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ জানান, নিখোঁজ পাঁচ মৎস্যজীবীর মধ্যে দু’জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে চলছে তল্লাশি।
গত ১৪ ডিসেম্বর নামখানা থেকে ১৬ জন মৎস্যজীবী পারমিতা-১১ নামে একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাংলাদেশের নৌসেনার একটি জাহাজ ট্রলারটিকে ধাক্কা মারে। এরপর ভারতীয় জলসীমানায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ইতিমধ্যে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারের মাঝি রাখাল দাসের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের মধ্যে একজন মৎস্যজীবীকে বল্লম ছুড়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশি নৌসেনা। এমনকি ট্রলারে থাকা ১৬ জন মৎস্যজীবীকেই মেরে ফেলার উদ্দেশ ছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে দুই দেশের আন্তর্জাতিক জল সীমানার কাছাকাছি মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময়ে হঠাৎই বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ নিয়ে এগিয়ে আসে। কোনও কথা না বলে ট্রলারের হাল ধরে রাখা মৎস্যজীবীকে বল্লম ছুড়ে মারে। বল্লমটি মৎস্যজীবী রাজদুল আলি শেখের শরীরে বিঁধে যায়। তারপরেই তিনি নদীতে পড়ে যান।
অভিযোগ, এরপর বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী ট্রলারটিকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ বাদে জাহাজ ঘুরিয়ে নিয়ে তাঁরা চলে যায়। এই ঘটনায় পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন মৎস্যজীবীরা।






