হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে বাবা ও মায়ের শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। চিৎকারের আওয়াজ শুনে লোকজন এলে পালিয়ে যায় ছেলে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চন্দ্রকান্ত সাহা (বয়স ৬৫)-কে আহম্মদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্ত্রী অঞ্জনা সাহাকে ডাক্তার শ্বাসনালী থেকে পাইপের মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে নিশ্বাসের ব্যবস্থা করে। পরে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নজরে অনুব্রতর 'শরীর', গাড়িতে বড় চমক! সিবিআই-এর বিশেষ 'ব্যবস্থা' নিয়ে শোরগোল
বাড়ির মালিক রামকৃষ্ণ সাহা জানান, ''আমার মোবাইলের ব্যবসা।রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরে যাওয়ার সময় অশান্তি হতে দেখি।নিমিষের মধ্যেই এই ঘটনা।আমরা বিশ্বাস করতে পারছিনা এমন ঘটনা ঘটতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে দশটার পর দুজন আহত ব্যক্তিকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। প্রথম ব্যক্তি চন্দ্রকান্ত সহা কিছুক্ষণ বেঁচে থাকলেও পরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করি। তার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর। ছুরি চালানোর ফলে শ্বাসনালী কেটে গেছে। কৃত্রিম ব্যবস্থা করে রেফার করা হয়েছে।''
আরও পড়ুন: শক্তিগড়ে থামল কনভয়, আদালতের পথে মুড়ি-চায়ে প্রাতঃরাশ সারলেন অনুব্রত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মানতে পারেনি ছেলে। তার ফলেই এই ঘটনা। ধৃত নীলকান্ত সাহাকে বলাগড় স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিশ।
---সৈকত বিশ্বাস