ধৃতের নাম বিষ্ণুপদ ঘোষ ওরফে ধানু। ভাতার থানার ছাতনি গ্রামে ধৃতের বাড়ি। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত সম্পত্তি জনিত কারণেই এই ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ওই পরিবারে অশান্তি চলছিল। তার জেরে কীটনাশক পান করে আত্মঘাতী হন বংশী ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী ছেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনি গ্রামের বাসিন্দা বংশী ঘোষের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। সকলেই বিবাহিত। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পরেই পুত্রবধূ, ছেলে ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য বংশীর ওপরে চাপ দেন। রাজি না হওয়ায় নির্যাতন শুরু হয়। স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে গোয়ালে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। এলাকার এক বাসিন্দা অত্যাচারে মদত দেন বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে পুত্রবধূর করা মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার হন বংশী।
আরও পড়ুন : কাটোয়ায় দুর্ঘটনার পর প্রশাসনিক বৈঠক, জারি হল একাধিক নিয়ম
জেলে থাকার সময়ে জমির সমস্ত ধান ছেলে কেটে নেয় বলে অভিযোগ। ছাড়া পাওয়ার পরে গোয়াল ঘরে ফিরে যান বংশী। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সম্পত্তি না লিখে দিলে পুত্রবধূকে দিয়ে তাঁকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মানসিক ভাবে ভেঙে রাতেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
আরও পড়ুন : শীতের আমেজ জমিয়ে দিতে ডিমের বেশি আর কী লাগে! দেখে নিন রেসিপি!
মৃতের স্ত্রী বন্দনা ঘোষ ঘটনার কথা জানিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ছেলে, পুত্রবধূ, এলাকার ওই বাসিন্দা-সহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। আগাম জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্তরা। সেই আবেদন খারিজ করে দেন জেলা জজ ।