অভিযোগ, টুলুর ব্যবসা ছিল অবৈধ খাদনের। বীরভূমের মহম্মদ বাজারের কাছেই টুলু মণ্ডলের চারটি পাথর খাদান রয়েছে। সূত্রের খবর, এছাড়াও প্রচুর পাথর খাদান নিয়ন্ত্রণ করত টুলু মন্ডল। সেখান থেকে প্রচুর টাকা তুলত বলে অভিযোগ। ২০০৯ সালে এই টুলু পাথর খাদানের ম্যানেজার ছিল। ২০১১ সালের পর থেকে ফুলে ফেঁপে কলাগাছ হয়ে ওঠে সে। অভিযোগ করা হয়েছে, এর পরেই শুরু হয় জেলার পাথর খাদান, ক্রাশার গুলোতে লুঠ, তোলাবাজির কারবার। ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালত (গ্রিন ট্রাইব্যুনাল) সমস্ত পাথর খাদান ও ক্রাশার অবৈধ বলে ঘোষণা করে।
advertisement
আরও পড়ুন: সত্যিই কি লটারি জিতে কোটি টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত? রহস্য ফাঁস করতে আসানসোল জেলে সিবিআই
আরও পড়ুন: চোখ কেন ঢাকা? ভিড়ের মধ্যেও ছোট্ট মেয়েকে দেখেই এগিয়ে গেলেন অভিষেক, মিলল চিকিৎসার আশ্বাস
কেন্দ্র থেকে বীরভূমে এসে, এই বিষয় নিয়ে পরিদর্শন করে যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। জেলা শাসকদের কাছে ওই নির্দেশ আদালত পাঠিয়ে দেয়।তার পরই সরকারের ডিসিআর কাটা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পাথরকুচি বোঝাই লরি থেকে দু’নম্বরি ডিসিআর কেটে টাকা তোলার কাজ চালু থাকে বলে জানিয়েছেন অনেকে। অভিযোগ, সেই টাকা তোলার দায়িত্ব ছিল টুলু মণ্ডলের ওপর। প্রতিটি জায়গায় গেট বসিয়ে পাথরের চালান কেটে টাকা তুলতেন ওই টুলু। ইডির তরফ থেকে বিশেষ করে জানতে চাওয়া হচ্ছে, হঠাৎ করে ফুলে ফেঁপে ওঠা টুলুর পাথর খাদানে এত টাকা কোথা থেকে এল?
অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে গরু-পাচারের টাকা পাওয়ার অভিযোগ আছে, তা এখানে খাটছে না তো? যদিও টুলু এখনও সদুত্তর দিতে পারেনি বলেই গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর। মূল সড়কে টুলু মণ্ডলের যে বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকত, সে গুলো কেন দেওয়া হত? কার অনুমতিতে দেওয়া থাকত? সমস্ত কিছুর উত্তর খুঁজছে ইডি।