পাশের গ্রাম জয়গোলানন্দপুরেও একই জলযন্ত্রণার ছবি। গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সেখানকার স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ। বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে বন্যাদুর্গত পরিবারগুলি। তবে স্কুল ছুটির কোনও সরকারি অর্ডার না থাকায় শিক্ষকরা নিয়মিত এসে বিদ্যালয় খুলছেন।
আরও পড়ুনঃ বর্ষা আসতেই হু হু করে বাড়ে চাহিদা! মাছ ধরতে আজও অনেকের পছন্দ খোলসানি, দামও সাধ্যের মধ্যেই!
advertisement
অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে খানাকুলে জলযন্ত্রণা অব্যাহত। এখানকার বহু স্কুলেই দেখা যাচ্ছে এক ছবি। গ্রামীণ রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, সব জায়গায় নৌকাও নেই। ফলে জল পেরিয়েই যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। কোথাও আবার একতলা বাড়িতে জল ঢুকে পড়ায় বাধ্য হয়ে ঘরের জিনিসপত্র ছাদে তুলে ত্রিপল খাটিয়ে রেখেছেন বাসিন্দারা।
এতকিছুর মধ্যেও অবশ্য সরকারি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন আশাকর্মীরা। এক কোমর জল পেরিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। জল আরও বাড়লে নৌকায় করে পরিষেবা দিতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুনঃ সাইকেল, বাইক, মানুষও পড়েছে নদীতে! রাজ্যের ‘এই’ ফেরিঘাটের ভয়ানক অবস্থা, পারাপারের আগে সাবধান!
খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। ডিভিসি লাগাতার জল ছাড়ায় নদনদী, শাখা খালগুলি জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কারণে এলাকা থেকে জমা জলও বেরোচ্ছে না। কোথাও এক মাস, কোথাও এক সপ্তাহ, কোথাও আবার ১০ দিন ধরে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে এলাকা। চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।