এরপরই দেহ রওনা দেয় নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর বসন্তগঞ্জের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে শহিদ হন ঝন্টু। জানা গিয়েছে, পুরো অভিযানটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনিই। অভিযানের সময় জঙ্গিদের গুলিতে মাথা ও কাঁধে গুরুতর জখম হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টার করে নিয়ে আসা হলেও, শেষরক্ষা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: ভ্যাপসা গরম, দু’দিন যেতে না যেতেই কালো হয়ে যাচ্ছে কলা? এইভাবে রাখলে ৭ দিন পরেও দিব্যি থাকবে টাটকা
চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলেই ঘোষণা করেন। অপরদিকে, ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত হলেও, দায়িত্ববোধে অটল ঝন্টুর দাদা সেনাবাহিনীতে কর্মরত সুবেদার সফিকুল শেখ। শোক সামলে তিনি জানান, দেশের শত্রুদের আমরা ছাড়ি না, ছাড়বও না। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শহীদের দেহ ব্যারাকপুর সেনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার ঋণ, খুন, গ্রেফতার…শেষ গোটা সংসার! ট্যাংরার দে পরিবারের সেই নাবালকের ঠাঁই হল কোথায়?
সেখানে সরকারের তরফে দায়িত্ব নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিধান নগর পৌরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত। দেশের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া এই বীরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ব্যারাকপুরবাসী-সহ গোটা নাগরিক সমাজ। আর এই শহিদের মৃত্যুই যেন মনে করিয়ে দেয়, দেশের শান্তির জন্য কেউ না কেউ প্রাণ দেয় নীরবে।
Rudra Narayan Roy