তাই নিজের পাশের বাড়ির এক কাকাকে সঙ্গে করে সাপ নিয়েই ছুটে যান জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরবর্তীতে অ্যান্টিভেনাম দেওয়ার পরে কৌশিককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কৌশিক জানিয়েছেন, “কী সাপে কামড়েছে সেটা দেখে যদি সঠিক চিকিৎসা হয় সেই কারণেই সাপটাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওটা চন্দ্রবোড়া সাপ ছিল”
সাপে কামড়েছে তাই বলে সাপ নিয়ে হাসপাতালে ? কিন্তু কেন, সাপ না নিয়ে গেলে কি সঠিক চিকিৎসা হত না? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানিয়েছেন, সাপে কামড়ালে সাপ নিয়ে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। সাধারণত দুটো ক্যাটাগরি হয় পয়জেনাস এবং নন পয়জেনাস। ভিন্ন ভিন্ন সাপের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা অ্যান্টিভেনম হয় না। যে সাপেই কামড়াক, চিকিৎসা একই হয়। সমস্ত ধরনের ভারতীয় প্রজাতির সাপের বিষ মিশিয়ে তৈরি হয় অ্যান্টিভেনম, যেটাকে পলিভ্যালেন্ট বলা হয়।
advertisement
কৌশিক বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন এবং তিনি বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সোমবার কৌশিক জানিয়েছেন তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। পরে আবার চেকআপ করাতে যাবেন।
পূর্ব বর্ধমানের সর্প প্রেমী বা বিশেষজ্ঞ অর্ণব দাসের কথায়, চন্দ্রবোড়া খুবই বিষাক্ত একটা সাপ। ইংরেজিতে এই সাপকে রাসেল’স ভাইপার বলা হয়। কাউকে সাপে কামড়ালে সর্বপ্রথম চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া এই শীতকালের সময় মাঠে অথবা বাড়ির আশেপাশে রোদ পোহানোর জন্য এই সাপের দেখা মেলে। তাই সকলেরই সাবধানে থাকার দরকার রয়েছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী