হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলাতি হয়েছে, আর তাতেই মৃত্যু, এমন অভিযোগ তুলে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকশো মানুষ হাসপাতালের সামনে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অবশেষে সেই পরিস্থিতির সামাল দিতে রীতিমত প্রচুর পুলিশকর্মীকে ময়দানে নামাতে হয়। তদন্তের আশ্বাস দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে একটি কমিটি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ধানের জমিতে সাপে কামড় দেয় সন্দীপকে। বাঁকুড়ার ছাতনা থানার সরবেড়িয়া গ্রামের বছর বারোর ছেলেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে নিয়ে আসা হয় ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
advertisement
পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, সন্দীপকে দ্রুত অ্যান্টিভেনম না দিয়ে তাকে বলা হয় অভিভাবক ডেকে আনতে। সন্দীপ অভিভাবককে ডেকে আনলেও চিকিৎসক বলেন, সাপ নয় কাঠির আঘাত। এমনটাই দাবি করছেন পরিবারের লোকজন। তবে পরিবার ক্রমশ চাপ দিতে থাকলে সন্দীপকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। সময় বয়ে যায়। তারপর বুধবার সন্ধ্যে ছ’টা নাগাদ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন সন্দীপের মৃত্যু হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ময়নাতদন্তের পর সন্দীপের দেহ গ্রামে নিয়ে গেলে, গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে আবার সেই দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায় সেখানে। শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ, ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলাতির কারণেই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকলে ছাতনা থানা থেকে পুলিশ বাহিনী হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছয়। পুলিশকে সামনে পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। মৃত কিশোরের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।






