TRENDING:

সাপে কামড়েছে? ঘাবড়ালে চলবে না...! 'গোল্ডেন আওয়ার'কে কাজে লাগালেই সহজেই বাঁচতে পারে রোগীর প্রাণ

Last Updated:

এ বছরও সাপের কামড়ের সংখ্যা রোগী ও বেড়েছে হাসপাতালগুলিতে। তবে উন্নতমানের চিকিৎসার ফলে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে সুন্দরবন জুড়ে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সুন্দরবন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ নিয়ে সচেতনতার বার্তা তুলে ধরলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত নিমাই মালি। সাধারণত বর্ষাকালে সুন্দরবন বিভিন্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। এ বছরও সাপের কামড়ের সংখ্যা রোগী ও বেড়েছে হাসপাতালগুলিতে। তবে উন্নতমানের চিকিৎসার ফলে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে সুন্দরবন জুড়ে।
advertisement

এদিকে সাপের কামড়ে একজনেরও মৃত্যু নয়, এই লক্ষ্যে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামীণ মানুষজনকে সাপ নিয়ে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করলেন চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ২০৩ জন ছাত্রছাত্রী পঠনপাঠন করছে। সাপ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নিজের বিদ্যালয়ে কচিকাঁচাদের সচেতন করলেন কোন সাপের বিষ আছে আর কোন সাপের বিষ নেই সেই সম্পর্কে।

advertisement

আরও পড়ুন: যানজটে ফাঁসার দিন শেষ…! ৪৮ লাখে শহরের বুকে নতুন সেতু, হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন বহরমপুরবাসীরা

এছাড়াও সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে কী করণীয় এবং সাপ কামড় দিলে কী করতে হবে? কতক্ষণের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে? এমন সব সচেতনতার বার্তা দেন প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি এদিন ক্লাসে সাপের বিভিন্ন ভিডিও দেখান হয় ছাত্রছাত্রীদের। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে সাধারণত কেউটে ও কালাজ সাপের উপদ্রব খুব বেশী। ফলে এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেকেই আতঙ্কেই সাপ মেরে ফেলেন। পরিবেশ রক্ষার জন্য সাপ বাঁচান জরুরী এবং সতর্কতাও প্রয়োজন। আর বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারলে ওরা তাদের পরিবার পরিজনদের  সচেতন করে তুলবে।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তিনি আরও বলেন, সাপ সম্পর্কিত তথ্য যদি পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্তি করা হয় সেক্ষেত্রে আরও বেশি সফল হওয়া সম্ভব। স্কুলে এমন সচেতনতামূলক শিক্ষার ব্যাপারে খুশি অভিভাবকরাও।

সাপে কামড়ানোর প্রথম ১০০ মিনিটকে ‘Golden Hour’ বলা হয়। ১০০ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে রোগীর বেঁচে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাপে কামড়ালে মূলত দুই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। একটা নিউরোলজিক্যাল উপসর্গ আরেকটি ভাসক্লোটক্সিক উপসর্গ। নিউরোলজিক্যাল উপসর্গে চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসবে, ঘাড়ে একটা দুর্বলতা অনুভব হবে, গলার স্বর ভারী হয়ে আসবে, কথা জড়িয়ে যেতে পারে, তার সঙ্গে ডবল ভিশন হতে পারে।

advertisement

ভাসক্লোটক্সিকে যেখানে কামড়েছে সেখান থেকে রক্ত বেরোতে পারে বা দাঁতের মারি থেকে রক্ত বেরোতে পারে, কাশি হলে মুখ থেকে রক্ত আসতে পারে। কখনও কখনও বমি বমি ভাব থাকতে পারে। আর আমাদের শরীরে যখন কোনও টক্সিন প্রবেশ করলে জ্বর আসাটা খুবই স্বাভাবিক। তাই শরীরের মধ্যে কোনও টক্সিন প্রবেশ করলে শরীর সেটাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এবার পুজো মণ্ডপেও নিজের খেলা দেখাবে 'এআই'! থিম শিল্পী এসেছেন বলিউড থেকে
আরও দেখুন

সুমন সাহা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সাপে কামড়েছে? ঘাবড়ালে চলবে না...! 'গোল্ডেন আওয়ার'কে কাজে লাগালেই সহজেই বাঁচতে পারে রোগীর প্রাণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল