বিগত পাঁচ বছরের তথ্য ঘাঁটলে নিঃসন্দেহে, সাপের কামড়ের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। আর এই সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন বাঁকুড়ার প্রান্তিক কৃষকরা। উপায় কী? উপায় আছে, বললেন চিকিৎসক। প্রথমেই উঠে এসেছে দুটি বার্তা, ভুলেও করা যাবে না এই দুই কাজ। কুসংস্কারকে সপাটে এক চড় মেরে, যেতে হবে হাসপাতাল। তাও আবার যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত পৌঁছতে হবে হাসপাতালে।
advertisement
এছাড়াও চিকিৎসক জানিয়েছেন, কী ভাবে চিনে ফেলতে হয় বাঁকুড়ার বিষধর সাপগুলিকে। অর্থাৎ সাপের সঙ্গে সহবাস করার অর্থ হল, সাপ এবং মানুষ একে অপরকে এড়িয়ে চলবে এবং কেউ কারোর কাজে বাধা দেবে না। অবশ্য বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত শুশুনিয়ার এই সচেতনতা মূলক সভায়, সাপের প্রতিকূল বাতাবরণ তৈরি করার একটি বার্তা উঠে এসেছে।
শুধুমাত্র বাইরে ঝোপঝাড়েই নয়। ঘরে বাইরে সমানভাবে দেখা যাচ্ছে সাপের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। অর্থাৎ আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি সাপ থাকার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে তাহলে বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
অন্ধকারের টর্চ ব্যবহার করা। সাবধানতা অবলম্বন করে চোখ কান খোলা রেখে পথ চলা এবং যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে কাঠ খড়ের গাদা এইসব পণ্য জমিয়ে না রাখা। মনে রাখতে হবে সাপ আত্মরক্ষার্থে কামড় দেয়। তাই দূরত্ব বজায় রাখলেই অর্ধেক কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।