এ দিন সন্ধ্যায় শান্তিকুঞ্জে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি৷ দু' পক্ষই অবশ্য এই সাক্ষাৎকে সৌজন্যমূলক এবং ব্যক্তিগত বলে দাবি করেছেন৷ সুকান্ত অধিকারীকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যান শুভেন্দু৷ শিশির অধিকারীর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর মা গায়ত্রী দেবীর সঙ্গে দেখা করে প্রণাম করেন সুকান্ত৷ চা, জলখাবার দিয়ে সুকান্তকে আপ্যায়ন করেন অধিকারী পরিবারের সদস্যরা৷
সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কমিউনিস্ট শাসনের অবসানে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শিশির অধিকারী৷ ফলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে অনেক দিন ধরেই ছিল৷'
advertisement
সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শিশির অধিকারীও জানান, এ দিনের সাক্ষাৎ ছিল একান্তই ব্যক্তিগত৷ প্রবীণ সাংসদ বলেন, 'আমি কখনওই ব্যক্তিগত সম্পর্ককে খারাপ হতে দিই না৷ এখন অবশ্য কেউ কেউ সেই চেষ্টা করছেন৷'
আরও পড়ুন: মানুষ নয়, স্করপিও-র ভিতরে চার-চারটি গরু! গাড়ি থামাতেই পুলিশের চোখ কপালে
এর পরেই শিশির অধিকারী বলেন, 'আমাদের পরিবারকে অনেকেই এখন চোর সাজানোর চেষ্টা করছে৷ কিন্তু আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে এই অপবাদ কোনওদিন কেউ দিতে পারেনি, পারবেও না৷ আর এসব করতে গিয়ে ওরাই আগে বিপদে পড়ে যাবে৷'
কাঁথির এই বাড়িতে বহু প্রথিতযশা রাজনীতিবিদের পা পড়েছে৷ প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বরকত গনি খান চৌধুরী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বর্তমানে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররাও সেই তালিকায় রয়েছেন৷ এ দিন সেই স্মৃতিচারণাও করেন শিশির৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথির এই বাড়িতে দু' তিন বার এসেছেন৷ যদিও সেই প্রসঙ্গ উঠতেই শিশির এ দিন বলেন, 'আমি এখন আর ওঁর সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না৷'