যেন নিজের জীবনের দুই দশকের গল্প সুরের আকারে ছড়িয়ে দিলেন বাতাসে। মাত্র তিন বছর বয়সে চোখের চিকিৎসার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসা মেহেদী বড় হয়েছেন হুগলির ডানকুনিতে। এখানকার মানুষ, মঞ্চ, আলো–আঁধারির মাঝেই গড়ে উঠেছে তাঁর শিল্পীসত্ত্বা। অন্ধ হলেও কণ্ঠের জাদুতে বহু অনুষ্ঠানে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। তাই ফিরে যাওয়ার মুহূর্তে গানই যেন তাঁর একমাত্র ভাষা হয়ে উঠল।
advertisement
আরও পড়ুন: গভীর রাতে পুলিশের হানা, যুবকের কাছে মিলল বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল! হতবাক সুতি
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর চেকপোস্টে যখন তাকে দেখা যায়, মেহেদীর গাওয়া সুরে স্পষ্ট ছিল ব্যথা আর ভালবাসার মিলন। অস্থায়ী শিবিরের অপেক্ষমান মানুষরাও থেমে গিয়েছিলেন তার কণ্ঠ শুনতে। আইন মেনে দেশে ফেরার সিদ্ধান্তে তিনি অনড় হলেও কণ্ঠের কম্পনে ধরা পড়েছিল বুকের ভেতর চাপা কান্না।
তবুও বললেন, “অবৈধভাবে থাকা ঠিক নয়। সরকার সুযোগ দিচ্ছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।” তার গলায় ছিল না বিদ্বেষ ছিল শুধু কৃতজ্ঞতা ও স্মৃতির ভার। গান গেয়ে বিদায়ের মুহূর্তকে ধরতে চেয়েছিলেন মেহেদী। কারণ গানই তার শক্তি, পরিচয়, অস্তিত্ব।
