কাস্তের মাধ্যমে ধান কাটতে খরচ বাড়ছে কৃষকদের এবং কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটলে অল্প খরচে এবং সীমিত সময়ের মধ্যে ধান কাটা হয়ে ঝাড়াই হয়ে কৃষকদের খামারে পৌঁছে যাচ্ছে। গড়বেতা, ঘাটাল, চন্দ্রকোনার মতো এলাকায় কামারশালের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের দাবি, বছর কয়েক আগে পর্যন্ত ব্যাপক পরিমাণে চাহিদা ছিল কাস্তের, বর্তমানে কম্বাইন হারভেস্টার বেরিয়ে যাওয়ায় কাস্তের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। আগে যেখানে কৃষকরা কামারশালে আসত কাস্তে নিয়ে, এখন সেভাবে আর আসে না। কৃষকরা জানান, কাস্তের মাধ্যমে ধান কাটতে প্রথমে লাগবে শ্রমিকের।
advertisement
আরও পড়ুন: এক গলা মদ খেয়ে বেসামাল মহিলার বেঘোরে ঘুম হাতির করিডরে! শেষমেশ উদ্ধার করতে ছুটে আসতে হল বনকর্মীদের
বর্তমানে সেই শ্রমিকের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। মাঠে ধান কেটে কয়েক দিন মাঠেই ফেলে রাখতে হয়। এরপর শুকনো হলে তা বেঁধে আবারও শ্রমিক বা ট্রাক্টর দিয়ে মাঠ থেকে আনতে হয় খামারে। সেক্ষেত্রে খরচ পড়ে বিঘে পিছু প্রায় ৭০০০ টাকা। এছাড়াও মাঠে ধান কাটা অবস্থায় থাকলে তার ওপর বৃষ্টি হলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বেরিয়ে যাওয়াই সঙ্গে সঙ্গে কেটে ঝাড়াই হয়ে খামারে পৌঁছে যাচ্ছে ধান। এমনকি এসবের খরচ অনেকটাই কমে গেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যেখানে কাস্তে দিয়ে ধান কাটতে বিঘে পিছু খরচ হয় ৭০০০ টাকা, সেখানে মেশিন দিয়ে ধান কাটা, ঝাড়া এমন কী ধান বাড়িতে পৌঁছন পর্যন্ত খরচ হচ্ছে মাত্র ৩-৩৫০০ টাকা। কৃষকদের মতে আগামীদিনে কাস্তে বিলুপ্তির পথে হাঁটছে। বছর কয়েক পর আর হয়ত কাস্তে দেখায় যাবে না।





