ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মৃত এক ব্যক্তিকে বসিয়ে মুখে চোখে ঘারে জল দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য ভেসে আসতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়েও স্বস্তি নেই, আজ উত্তর-দক্ষিণের কোন কোন জেলায় বইবে ভয়ঙ্কর ‘লু’? জানুন সর্বশেষ আপডেট
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্মশানে দাহ কার্যে পিন্ডদানের সময় হঠাৎই নড়ে ওঠেন ওই মৃত ব্যক্তি। তার মুখটিও কিছু সময়ের জন্য খুলে যায়। আর তা দেখেই মৃতের পরিবার হঠাৎই ভেবে বসেন তাদের প্রিয় আত্মীয় হয়তো তখনও বেঁচে রয়েছে। এই ভেবেই মুহূর্তে ওই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। আশপাশে থাকা সকলেই বিশ্বাস করে নেন জীবন্ত হয়ে উঠেছেন মৃত ব্যক্তি। এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
আরও পড়ুনঃ ডেউয়া ফল চেনেন? খেয়েছেন কখনও? উপকার জানলে আজই বাজারে খুঁজবেন নিশ্চিত
প্রসঙ্গত, সমস্ত নিয়ম মেনেই পর্যবেক্ষণ করে সকাল আট’টা নাগাদ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। এরপরই বেলা দু’টোর সময় দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। তারপরই ঘটে এই ঘটনা। ঘটনার সময় আশপাশে থাকা মানুষজন সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেন, আর মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনেকেই এখন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আদৌ কি জীবিত হয়ে উঠেছেন ওই মৃত ব্যক্তি? যদিও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন বহু ক্ষেত্রে এমন ঘটনার নজির রয়েছে। মৃত্যুর কিছু সময় পরও শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এক ধরনের পেশির টান কাজ করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে রাইগর মর্টিস। তবে এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছিল, তা অবশ্য পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কারও কিছু নজরে না এলেও পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন এমন আজব মুহূর্তেরই সাক্ষী ছিলেন তাঁরা।
যদিও স্থানীয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ আধিকারিক জানান, এমন একটি ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি জীবিত হয়ে ওঠার মতন কোন ঘটনা ঘটেনি। সকালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহের ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিল হাসপাতাল পরবর্তীতে এই কাণ্ড ঘটার পর ফের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর ফের দেহ শ্মশানে নিয়ে এসে দাহ করা হয়।
Rudra Narayan Roy