আরও পড়ুন: ফসিলসের গান শোনার জন্য হুড়োহুড়ি, অনুষ্ঠান দেখতে এসে হাসপাতালে ঠাঁই
শোলা দিয়ে তৈরি ছোট বড় নানা ডিজাইনের চাঁদ মালা, গোড়ে মালা, বিভিন্ন ধরনের ফুল, মুকুট, বিয়ের টোপর সহ নানা সামগ্রী তৈরি হয়। সাধারণত এই শোলার কাজ যারা করেন তাঁরা মালাকার নামে পরিচিত। বংশ-পরম্পরায় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পেশা ছেড়ে অন্য কাজে যুক্ত হ।ওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে সেভাবে পারিশ্রমিক মেলে না। একজন দক্ষ কারিগর সারাদিন কাজ করে ২০০-২৫০ টাকা পায়।
advertisement
এর উপর উপর শোলা গাছের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে খরচ। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত শোলা শিল্পে হাওড়া জেলায় প্রচুর কাঁচামালের যোগান ছিল। তখন কাঁচামালের দামও ছিল কম। কিন্তু এখন শোলার ক্ষেতের পরিমাণই অনেকটা কমে গিয়েছে। আর তাতেই বেড়েছে দাম। বর্তমানেও জেলার বেশ কিছু পরিবার শোলা শিল্পের উপর নির্ভর। তেমনই আমতা উদং বাজার সংলগ্ন কিছু পরিবার শোলা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। সেখানকার দক্ষ কারিগর নন্দলাল দাস ও তাঁর দুই ভাই শোলা শিল্পের কাজ করছেন। এই প্রসঙ্গে নন্দলালবাবু জানান, সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেও সেভাবে পারিশ্রমিক মেলে না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বাংলার ঐতিহ্য শোলা শিল্প। দীর্ঘদিন শোলা ও শোলা শিল্প নিয়ে চর্চা করছেন শিক্ষক প্রদীপ রঞ্জন রীত। এ প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু জানান, শোলার তৈরি জিনিসের চাহিদা রয়েছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী এই শিল্প থেকে ভাল পরিমান লাভ পায়। কিন্তু যারা এই শিল্পের প্রাণ সেই কারিগরদের সংসারে হাড়ি চড়ে না।
রাকেশ মাইতি