ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকে রয়েছে এই প্রাচীন মন্দির। যা পুরনো দিনের ইতিহাসের সাক্ষী। তিরিশ ফুট উঁচু প্রাচীন মন্দিরের ভেতরে শিব লিঙ্গের অবস্থান। তবে একটি নয়। সহস্রলিঙ্গের অবস্থান। এই মন্দিরের নাম সহস্র লিঙ্গ শিব মন্দির।
ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের চন্দ্ররেখা পঞ্চায়েতের সাতপৌটিয়া গ্রামে অবস্থিত এই মন্দির। মন্দিরের নামের আগে অবশ্য জুড়েছে স্বস্তিনী কথাটি। তবে কেন তা গবেষণার বিষয়। এই মন্দিরে নিত্য পূজা প্রচলিত। তবে শিবচতুর্দশীর সময় এখানে বড় মেলা বসে। বহু ভক্তসমাগম হয়। তবে সহস্রলিঙ্গ এক অত্যাশ্চর্য বিষয়। জানা যায়, আর কোথাও এমন শিবলিঙ্গ দেখতে পাওয়া যায় না। মন্দিরের ইতিহাস চর্চা করতে গেলে নাম পাওয়া রাজা চন্দ্রকেতুর। তবে এমনটাই জনশ্রুতি।
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলার গোপনাঙ্গে ধাতব শব্দ! বনগাঁর সীমান্তে যা উদ্ধার হল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
মন্দিরের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত চন্দ্রকেতু গড়। পরিখা ও মাকড়া পাথরের প্রাচীন প্রাচীর এখনও মাটির তলায় উঁকি দিচ্ছে। এলাকার মানুষের দাবি এখানেই গড় ছিল রাজা চন্দ্রকেতুর। আর সকালে উঠেই মন্দির দেখবেন বলেই পশ্চিমুখী এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছেন। যদিও জনশ্রুতি, এই সহস্রলিঙ্গ নাকি মাটির তলায় প্রোথিত ছিল। কালাপাহাড়ও নাকি এই শিবলিঙ্গ ভাঙতে এসে তুলে ফেলতে পারেননি। যদিও এসব জনশ্রুতি। তবে মন্দির যে বেশ প্রাচীন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: ‘এবার এগিয়ে যাওয়ার সময়’, বাবুল সুপ্রিয়র পোস্ট ঘিরে তুমুল জল্পনা! এল ইন্দ্রনীল প্রসঙ্গও
একটি শিবলিঙ্গের চারিদিকে খোদিত আছে সহস্র লিঙ্গ। তাই এখানে দেবাদিদেব মহাদেব সহস্র লিঙ্গ নামে পরিচিত। মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রতিদিনই এই মন্দিরে আসেন ভক্তরা। মাকড়া পাথরে তৈরি এই মন্দির। চূড়ায় আছে বিশাল আমলক। তবে ওড়িয়া রীতিতে তৈরি এই মন্দির দেখতে আপনার চোখ জুড়াবে।
মন্দির থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ওড়িশা। মনস্কামনা পূরণের আশায় শুধু এ বাংলার নয় ওড়িশা থেকে বহু ভক্ত আসেন এখানে। ছুটির একটি দিনে ঘুরে আসতে পারেন সহস্র লিঙ্গ শিব মন্দিরে। সাথে পাবেন জঙ্গলমহলের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
—- Ranjan Chanda