পরিবর্তনের পরবর্তীকালে দেখা যাবে, শান্তিপুর স্টেশনকে এক সম্পূর্ণ অন্য নূতন আঙ্গিকে। এই স্টেশনে হবে নতুন সম্মুখভাগ, চলাচলের জায়গা এবং পরিচালন এলাকার উন্নতি, প্ল্যাটফর্মের উপরিতল গ্রানাইট দ্বারা বাধানো, এসি ওয়েটিং হল, বেঞ্চ, টয়লেট, ডাস্টবিন, ডিসপ্লে বোর্ড, সাইনবোর্ড, আলো, ফ্যান এবং শক্তি সংরক্ষণের জন্য সোলার প্যানেল।
advertisement
শান্তিপুর তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত। স্টেশনের ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রডাক্ট’ স্টলগুলিকে ব্যবহার করে স্থানীয় কারিগর এবং শিল্পীরা তাদের উৎপন্ন পণ্যদ্ৰব্য বৃহত্তর বাজারে যেমন নিয়ে যেতে পারবে তেমনি ওই সমস্ত এলাকার আর্থিক বিকাশ ঘটবে।
এই উন্নত পরিকাঠামোর ফলে, শান্তিপুর স্টেশন কেবলমাত্র যাত্রী পরিষেবাকেন্দ্রই নয়, ভবিষ্যতে একটি ব্যবসায়িক তথা অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে উঠবে যা দেশের আর্থিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। এই উন্নতিবিধানের কাজের গতি দ্রুততর করতে পূর্ব রেলের সমস্ত স্তরে এর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে যাতে যত শীঘ্র সম্ভব এই উন্নতমানের স্টেশনের বাস্তবায়ন করা যায়।
এই প্রকল্পটি রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এটি যাত্রীদের উন্নতমানের রেলযাত্রার অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। শান্তিপুর স্টেশনের পুনর্নির্মাণ ভারতীয় রেলওয়ের উন্নয়নে একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, অমৃত ভারত স্টেশনে একাধিক কাজ হচ্ছে৷ বিভিন্ন স্টেশনকে কার্যত বিমানবন্দরের ধাঁচে গড়ে তোলা হচ্ছে ৷ আগামী দিনে সম্পূর্ণ বদলে যাবে শান্তিপুরের চেহারা।