TRENDING:

বাইরে থেকে এনে ফেলে যাচ্ছিল! শেষে গোপন কারবার ফাঁস! ভেতরে কী ছিল জানলে চমকে যাবেন

Last Updated:

ব্যক্তিগতভাবেই এই ব্যবসা। বাড়ির মল নিষ্কাশনের প্রয়োজনে ফোন করলেই তারা অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করে থাকেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শান্তিপুর, নদিয়া, মৈনাক দেবনাথ: একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী পরিবেশকে কলুষিত করে নিজেদের মুনাফা লাভের স্বার্থে গ্রামের মল ফেলে যান শহরে। শান্তিপুর পৌরসভার এক সাফাই কর্মীর হাতে ধরা পড়ে চাঞ্চল্য গোটা শান্তিপুর জুড়ে। সকাল থেকেই মল ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে চাঞ্চল্য নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড রামকানাই গোস্বামী কলুপাড়া মোড়ে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ।
advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই শান্তিপুর পৌরসভার সাফাই কর্মীরা খেয়াল করেন, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা শান্তিপুর পৌরসভা এলাকা ব্যতীত অন্য কোনও জায়গার মল অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করে। তারপর তা ফেলে দিয়ে যায়। কখনও নির্জন রাস্তার পাশে, কখনও আবার ময়লার মাঠে।

আরও পড়ুন : গ্রাহকের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলা! নন্দীগ্রামে হোটেল-রেস্টুরেন্টে প্রশাসনের হানা

advertisement

শান্তিপুর পৌরসভার সাফাই কর্মীদের সুপারভাইজার সুবীর ঘোষ এদিন এমনই একটি গাড়িকে লক্ষ্য করেন। গাড়িটি থানার মোড়ের দিক থেকে দ্রুত গতিতে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল। তিনি গাড়িটি দাঁড় করানোর অনুরোধ করলেও, প্রবল গতিতে বেরিয়ে যেতে থাকে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ওই গাড়ি আটকানো সম্ভব হয়।

তারপর বিষয়টি জানানো হয় শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান সহ বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার অমিত বালাকে। অমিত বাবু ঘটনাস্থলে আসেন এবং এলাকাবাসী খবরে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশও। এরপর ওই গাড়িতে থাকা তিন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাতে সন্দেহ আরও তীব্র হয়। অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি বলেন, তাদের বাড়ি ভাতজাংলা পঞ্চায়েত এলাকায়। পঞ্চায়েতের নির্দেশেই তারা নাকি শান্তিপুর বেলগড়িয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোড়ালিয়ায় দুই ব্যক্তির বাড়িতে এদিন সকালে মল সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেবেন বাঁকুড়ার শিক্ষক! অভিনয়, গান, শর্টফিল্ম সবেতেই পারদর্শী

যদিও গাড়ি চালকের লাইসেন্স কিংবা এই ব্যবসার উপযুক্ত ট্রেড লাইসেন্স কিছু ছিল না তাদের কাছে। এমনকি সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানও বিষয়টি জানেন না বলেই জানিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে দুরাভাষে বিষয়টি বোঝা যায়। ব্যক্তিগতভাবেই এই ব্যবসা। বাড়ির মল নিষ্কাশনের প্রয়োজনে ফোন করলেই তারা অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করে থাকেন। তবে কাজের পরিধি কিংবা মল ফেলার সুনির্দিষ্ট পঞ্চায়েত অনুমোদিত জায়গা তাদের আছে কিনা, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তবে যেখানে নির্মল বাংলা সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে শহর গ্রাম পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা চলছে তখন বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকাতে মল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নেই বলেই জানা গেছে আর এতেই বাড়ছে বিপত্তি কারণ যে কোনও পঞ্চায়েত এলাকা থেকে মল সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা অন্যান্য এলাকাতে রাতের অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে পরিবেশ বিঘ্নিত করেই। তবে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাইরে থেকে এনে ফেলে যাচ্ছিল! শেষে গোপন কারবার ফাঁস! ভেতরে কী ছিল জানলে চমকে যাবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল