রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর মেদিনীপুর শহরের একাধিক অধ্যাপক, উকিল, সংস্কৃতি প্রিয় ব্যক্তি এমনকি জেলার প্রথিতযশা বিচারকদের ভাবনায় গড়ে ওঠে রবীন্দ্র নিলয় নামে এই ভবন। ১৯৪৪ এ গঠিত হয় ট্রাস্ট। এরপর স্বাধীন ভারতে প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এই ভবনের। পরবর্তীতে কয়েক বছর পর গড়ে ওঠে ভবন। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় এই ভবন প্রতিষ্ঠিত হয় মেদিনীপুর শহরে। প্রায় বেশ কয়েক দশক ধরেই এই ভবন বজায় রেখেছে শান্তিনিকেতনের মাত্রা। যেভাবে বীরভূমের শান্তিনিকেতনে সংস্কৃতি চর্চা হয়, এই ভবনেও একইভাবে সংস্কৃতি চর্চা করেন জেলার সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিরা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
শুধু তাই নয়, প্রতিদিন গান, নাচ সহ একাধিক সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়ে থাকে এই রবীন্দ্র নিলয়ে। ছোট ছোট বাচ্চা থেকে বড়দের শেখানো হয় নাচ, গান, আবৃত্তিও। শান্তিনিকেতনের মতই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চায় মুখরিত হয়ে থাকে এই ভবন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সংস্থার তরফেও এখানে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুনNadia Durga Puja 2025: নদিয়ার পাঁচটি সেরা থিমের পুজো যা না দেখলেই বড় মিস! এক ঝলকে দেখে নিন
স্বাধীনতার আগে থেকেই বেশ কয়েক দশক ধরে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে মেদিনীপুরের মানুষ। মেদিনীপুর শহরের সংস্কৃতি চর্চার এক প্রাণকেন্দ্র রবীন্দ্র নিলয়। শান্তিনিকেতনের ধারায় ও ধাঁচে এখনও সংস্কৃতি প্রবাহ বহমান রেখেছেন শিল্পী থেকে সকলে। এই ভবন বয়ে চলেছে তার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
রঞ্জন চন্দ