দলের রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব না রাখার প্রতিবাদে কয়েকদিন আগেই বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক (West Bengal BJP)৷ বিষয়টি নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন শান্তনু ঠাকুর৷ তার পরেও সাংসদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় শান্তনুর ক্ষোভ প্রশমন হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভাঙন 'আসছে', নাড্ডার কাছে শান্তনু ঠাকুর! বঙ্গ বিজেপি-তে ফের রদবদল?
এ দিন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শান্তনু বলেন, 'আমি পশ্চিমবঙ্গে দলের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল৷ কারণ আমার মনে হয়েছে রাজ্যে আমাকে দলের প্রয়োজন নেই৷ সেক্ষেত্রে আমারও তাদেরকে নিষ্প্রয়োজন৷ সময় মতো আমার সব পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য সবাইকে ডেকে জানিয়ে দেবো৷' শান্তনু ঠাকুরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দলের অন্য নেতারা৷
আরও পড়ুন: 'ভুল চিন্তাভাবনা এসেছিল', সুকান্ত মজুমদারের কাছে 'ভুল' স্বীকার বিধায়কের! কিন্তু কেন?
পুরভোটের আগে শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে দলের দূরত্ব যে বাড়ছে তা এ দিনের আরও একটি ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ যা মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি নেতৃত্বের চিন্তা বাড়াতে বাধ্য৷ এ দিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিজেপি৷ গোপালনগরে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং৷ কিন্তু এই বৈঠকে ছিলেন না এলাকার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত চার বিধায়ক৷
বৈঠকে গরহাজির ছিলেন কল্যাণাীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর৷ প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে এই বিধায়করাই বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন৷ একমাত্র বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার এ দিন দলের বৈঠকে হাজির ছিলেন৷
Anirudha Kirtania