এই শাল ইউনিটে কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার দিশা পেয়েছেন জঙ্গলমহলের আদিবাসী পরিবারগুলো। একদিকে যেমন এই ইউনিটে শালপাতা সেলাই, কাটিং এবং ফিটিং এর কাজ করছেন মহিলা ও পুরুষরা অন্যদিকে জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে এনে কুড়চি কাঠি দিয়ে হাত সেলাই করে রোদে শুকিয়ে শালপাতা ৩৫০ টাকা প্রতি হাজারে বিক্রি করে অনেকটা আর্থিক সচ্ছল হচ্ছেন জঙ্গলমহলের মহিলারা। এদিন রাইপুর ল্যাম্পসের শালপাতার ইউনিট পরিদর্শন করেন রাজ্য পরিবেশ দফতরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি শসীম কুমার বারুই। তিনি ইউনিট পরিদর্শন করে উচ্ছ্বসিত।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার সবুজ আপেল!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য পরিবেশ দফতর এখানে শালপাতার তৈরি জিনিসপত্রগুলো বাজারজাত করার ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। একই সঙ্গে তিনি এখানে তৈরি শাল পাতার জিনিসের বেশ কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন বলে জানা গিয়েছে। কর্মরত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা জানিয়েছেন, শালপাতার ইউনিটে কাজ করে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আয় হচ্ছে। ইউনিট বড় করতে পারলে আরও বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এখান থেকে উপকৃত হবেন বলে তারা জানান।
রাইপুর ডিআরএমএস ল্যাম্পসের ম্যানেজার চন্দন চৌধুরী জানিয়েছেন, এখানে কাজ করে আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হচ্ছেন। সম্প্রতি গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জঙ্গলমহলের শালপাতার তৈরি জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। স্থানীয় বাজারেও জিনিসপত্রগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে যেমন জঙ্গলমহলের সম্পদকে কাজে লাগানো যাচ্ছে তেমনভাবে পরিবেশ দূষণও অনেক পরিমাণে হ্রাস পাচ্ছে। রাজ্য পরিবেশ দফতরের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে এই ইউনিট আরও বড় করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





