এ ব্যাপারে এস এফ আইয়ের পূর্ব বর্ধমানের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরীর অভিযোগ, " বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা চলছে। ২০১৪ সালের পর থেকে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । এক দিকে দেখতে পাচ্ছি ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট পাচ্ছে না। অন্যদিকে ২০২১ সালের পর থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাকের অ্যাফিলিয়েশন নেই। ফলে আগামিদিনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে বা বর্তমানে যাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে আমরা বিশেষভাবে চিন্তিত। "
advertisement
এর পাশাপাশি অভিযোগ, ডিসট্যান্স এডুকেশনের পড়াশোনা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে । অনির্বাণ বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালের পর থেকে পরীক্ষা নিতে পারছে না । অ্যাডমিড কার্ড দিতে পারছে না। রেজাল্টের হার্ড কপি দিতে পারছে না। অথচ যে সংস্থা এই কাজগুলি করতে ব্যর্থ হয়েছে সেই সংস্থাকেই ফের এই কাজের জন্য ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই এটা বরাত না, এটা দুর্নীতি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত দুর্নীতি স্বজনপোষণ ও বেনিয়মের মেলবন্ধনে চলছে।"
আরও পড়ুন : বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড, ইট দিয়ে মেরে ভেঙে ফেলা হল তালা!
অনির্বাণ আরও বলেন, " পাশের কলেজ ইউআইটি যে কাজ আড়াই লক্ষ টাকায় করে দিচ্ছে সেই কাজই বেসরকারি সংস্থাকে ২১ কোটি টাকায় পাইয়ে দিয়ে দুর্নীতি করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬৩টি কলেজ আছে । এক একটি কলেজে এই কাজে খরচ হয় আড়াই লক্ষ টাকা । সব মিলিয়ে দেড় কোটি টাকার যে কাজ হয়ে যায় সেই কাজ করতে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে । তাহলে বাকি টাকা কোথায় যাচ্ছে তা জানতে চাইছি আমরা । সেই টাকা কি অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছে? নাকি উপাচার্যের কোনও গোপন ফ্ল্যাটে সেই টাকা জমা হয়ে রয়েছে তার তদন্ত করতে হবে।"
আরও পড়ুন : স্কুলে নেই হলঘর, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মাঠে, ঘাটে বসে মিড মে মিল খেতে হয় পড়ুয়াদের
এ ব্যাপারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য আশিস পাণিগ্রাহী বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারেন। তবে তা প্রমাণসাপেক্ষ হওয়া উচিত।