সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কলেজ সার্ভিস কমিশন। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেন ওই দুই ছাত্র অসুস্থ ছিল। তার সপক্ষে তাঁরা মেডিক্যাল রিপোর্টও দেখান। পাল্টা এই প্রতিবাদী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোবাইল নিয়ে লাইভ করার অভিযোগ নিয়ে ফরাক্কা থানার অভিযোগ দায়ের করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
যদিও সোমবার কলেজে এসেছে সৃজয়বাবু। তিনি দাবি করেন, আমি আইনগতভাবে লড়াই করব কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তারজন্য আইনজীবিদের সঙ্গে পরামর্শ করছি। মোবাইল নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমি মোবাইল নিয়েছে যেহেতু আলাদা করে ওই ঘরে পরীক্ষা চলছিল জানতে পেরেই লাইভের সিদ্ধান্ত নিই। কারন কেউ অসুস্থ হলে একটি নির্দিষ্ট রুম আছে সেই রুমেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন, ‘কারও ঐশ্বর্যকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকতেই পারে!’ চিরঞ্জিতের নিশানায় দলের কোন বিধায়ক?
আরও পড়ুন, দক্ষিণেশ্বর থেকে স্বাভাবিক হল মেট্রো পরিষেবা! রবিবার দিনভর হয়রানির পর যাত্রীদের স্বস্তি
তিনি আরও বলেন, যারা পর্যবেক্ষক ছিলেন তাদের সঙ্গে অভব্য আচরন করেছি বলে শোকজের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে ওই শিক্ষকের দাবি আমি যা বলেছি সেটা রেকর্ডিং রয়েছে। ওই দুই ছাত্র যে ওই ঘরে পরীক্ষা দিচ্ছে তা তাদের জানা ছিলনা বলে তারা জানিয়েছেন।
তবে এই ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। উনি মোবাইল কেন জমা দেননি সেটা জানতে চেয়েছি। উত্তর সন্তোষজনক না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তার নামেই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে ও শোকজ করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে তিনিও আদালতের শরনাপন্ন হবেন বলে জানালেন সৃজয় মন্ডল।