পাড়ার মাঠে পা রাখতেই যেন ফেলে আসা কৈশোরের দিনগুলো ফিরে এল। কেউ স্কুল জীবনের বন্ধু, কেউ পাড়ার পুরনো খেলোয়াড়, কেউ আবার বহুদিন বাদে মাঠে পা রাখলেন। সবার চোখে মুখে আনন্দের ঝলক, কখনও হেসে উঠছেন, কখনও আবেগে চোখ ভিজে আসছে। সংসার, কাজ আর বয়সের ভারে বহুদিন মাঠের ধুলো না ছুঁলেও, এদিনের খেলায় সেই পুরনো স্পৃহা যেন আবারও ফিরে এল তাঁদের মধ্যে।
advertisement
গতি বা দম আগের মত না থাকলেও খেলার চেষ্টা, গোলের জন্য দৌড়, প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়ার দৃপ্ত মানসিকতা—সবই ছিল প্রবীণদের খেলার ভঙ্গিতে। একবার দম নিতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন অনেকে, তবুও খেলার প্রতি ভালবাসায় এতটুকু কমতি নেই। মাঠের চারপাশে ভিড় করে থাকা মানুষদের হাততালি, উচ্ছ্বাসে গলা ফাটান—সব মিলিয়ে মাঠজুড়ে যেন ছোটখাট উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ম্যাচ ছিল শুধু খেলাধুলার জন্য নয়, বরং শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং জীবনের আনন্দ খুঁজে নেওয়ার এক নতুন উপলক্ষ। প্রবীণদের এমন ফুটবল খেলা দেখে এলাকায় নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। যে বয়সে মানুষ সাধারণত নিজেকে গুটিয়ে নেন, সেই বয়সেও খোলা মাঠে বলের পেছনে ছোটার ইচ্ছে যে জীবনের প্রতি ভালবাসার প্রকাশ, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন মিনাখাঁর প্রবীণরা। ফলে এই ফুটবল ম্যাচ শুধু খেলার আনন্দ নয়, বরং জীবনের জয়গান হয়ে থেকে গেল সবার মনে।
জুলফিকার মোল্যা