দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মানিক সরকার ও তাঁর ভাই সঞ্জয় সরকার বিক্রি করে আসছেন এক টাকার পরোটা। শ্রীরামপুর বেলটিং বাজার বাসস্ট্যান্ডের ঠিক পাশেই রয়েছে মানিক সরকারের পরোটার দোকান। সেখানেই সকাল ৭টা থেকে ভিড় লেগে যায় ১ টাকার পরোটা খাওয়ার জন্য। পুলিশকর্মী থেকে রিক্সাচালক, পথচারী থেকে অফিসযাত্রী, সকলেরই পছন্দের জলখারের জায়গা এই মনিকদার ১ টাকার পরোটা। প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার পরোটা বাড়ি থেকেই বানিয়ে নিয়ে আসেন মানিক বাবু। তরকারি তৈরি হয় দোকানেই। তবে মাত্রএক টাকার পরোটা বিক্রি করেও কিন্তু লাভ হয় মানিক বাবুর।
advertisement
মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কীভাবে এক টাকায় পরোটা বিক্রি করে আসছেন মানিকবাবু? তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছরের তাঁর দোকান। দোকান শুরুর দিন থেকেই তিনি এক টাকার পরোটা বিক্রি করতেন। আগে এই পরোটার সাইজ বড় থাকলেও এখন মূল্যবৃদ্ধির কারণেই পরোটা সাইজে একটু ছোট হয়েছে। কিন্তু দাম বাড়েনি দীর্ঘ ৩৫ বছরে। ন্যূনতম মূল্যে জলখাবার বিক্রি করেন তিনি। ১০ টাকায় দশটা পরোটাতেই অনায়াসে পেট ভরে যায় বহু মানুষের।
মানিক বাবু আরওবলেন, বর্তমান সময়ে তাঁর যা পরোটা চাহিদা তাতে তিনি বিক্রি করে কুলিয়ে উঠতে পারেন না। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে আসে এই এক টাকার পরোটা খেতে। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৮০০ পরোটা শুধু পার্সেলেই চলে যায়। সকাল ১১ টার মধ্যেই সমস্ত পরোটা শেষ হয়ে যায় দোকানে।
এই বিষয়ে তার দোকানে আসা এক খরিদ্দার জানান, তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। কম পয়সায় পেট ভরা খাবার তিনি পেয়ে যান মানিক বাবুর দোকানে এসে। যখন থেকে তার দোকান তবে থেকেই প্রতিদিন সকালে প্রাতরাশ করতে তিনি আসেন। তিনি আরও বলেন একমাত্র শ্রীরামপুরের মনিক দার দোকান ছাড়া আর কোথাও এক টাকার পরোটা পাওয়া সম্ভব নয়।
রাহী হালদার