আরও পড়ুন: খিদের জ্বালা বড় জ্বালা! রাস্তায় লরি আটকে তোলাবাজি চালাল ‘রামলাল’
তাদের কথা অনুযায়ী, মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যাওয়ায় তবে সম্প্রতি কাঁচা আমের জ্যাম জেলি ইত্যাদি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ফ্লেভার ব্যবহার বাড়াতে সেগুলি প্রস্তুত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা। আর সেই কারণেই পাকা আমের পাশাপাশি কাঁচা আমেরও ব্যাপকভাবে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই কারণে কৃষকরাও নিস্তার পেয়েছে ওই দুশ্চিন্তার থেকে। তারাও ইতিমধ্যে বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করতে শুরু করেছে বর্তমানে সব থেকে বেশি ফলন হওয়া বোম্বাই আম। সাধারণত সিজনের প্রথমেই এই আম রফতানি শুরু হয় এরপরে আসবে হিমসাগরের পালা।
advertisement
আরও পড়ুন: উঠোনে ঘুমোচ্ছিলেন বৃদ্ধ, হঠাৎ শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিল হাতি! তারপর যা হল, শুনলে চমকে যাবেন…
কাঁচা অবস্থায় আম বিক্রি করলে আখেরে লাভ হচ্ছে কৃষকদেরই। তার কারণ আম পাকলে পরে কিংবা পাকানোর জন্য দরকার পরে প্রচুর পরিমাণে ঝুড়ি, পাকানোর জন্য কার্বাইট, এবং গাছে পাকা আমের জন্য পশুপাখি এবং মানুষের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাখতে হয় পাহারা আর তাতে যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাটের কড়ি খরচ হয় তাদের। তাছাড়াও পাকা আম পরিবহনে নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে না হলে সেগুলি পচন ধরার সম্ভাবনা থাকে তবে কাঁচা আমের ক্ষেত্রে সেই সময়টা অনেকখানি বেশি পাওয়া যায়। সেই কারণে আরতদারদেরও এই কাঁচা আম রফতানিতে সুবিধা হয়।
যেমন শান্তিপুরের এই আম এখন রফতানি হচ্ছে দিল্লি ওড়িষা আরও একাধিক রাজ্যে। এমনকি বর্তমানে দেশের বাইরেও উড়ে যাচ্ছে জেলার এই কাঁচা আম। কাঁচা আম নির্দিষ্টভাবে গাড়ির মধ্যেই সেট করে সেখানে অল্প কিছু পরিমাণে কার্বাইড দিয়ে দিলেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পাশাপাশি সেই আম পেকেও যায় ফলে একাধারে দুই দিক থেকে লাভ হয়। তবে বর্তমানে পাকা আমের থেকে কাঁচা আম বিক্রি করেই শান্তি পাচ্ছেন আরতদার থেকে শুরু করে চাষীরাও এমনটাই জানাচ্ছেন তারা।