কথায় আছে ‘নদীর ধারে বাস, চিন্তা বারো মাস’। আয়লা থেকে আমফান, একের পর এক ঘূর্ণিঝড় এসে গোটা সুন্দরবনকে তছনছ করে দিয়ে যায়। প্রতিবছরই কোনও না কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে সুন্দরবনের মানুষজন। আশ্রয়হীন হন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, এই সকল ঘূর্ণিঝড় ঠেকাতে হলে সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। কারণ ম্যানগ্রোভ বনভূমি যত ঘন হবে তত ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আর তবেই বাঁচবে সুন্দরবন।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষা এলেই প্রাণ কাঁপে নদী পাড়ের মানুষগুলোর! সুন্দরবন জুড়ে এখন শুধুই আতঙ্কের ছবি
কিন্তু এই চরম সত্যটি জানার পরও সুন্দরবনে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে ম্যানগ্রোভ বনভূমি নিধন ক্রমাগত ঘটেই চলেছে। গাছ কাটা হচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে দামি দামি ম্যানগ্রোভ গাছ। অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি করছেন ফিশারি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত কয়েক বছরে সুন্দরবন জুড়ে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা বসানো হয়েছে। সেই উদ্যোগে শামিল হয়ে বাসন্তী ব্লকের প্রত্যান্ত ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হেড়োভাঙা মৌজায় ত্রিদিব নগর বালিখাল বাজার সংলগ্ন এলাকায় জিরো গ্রাউন্ডে জয় গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রর উদ্যোগে ভঙ্গুর নদী বাঁধে ম্যানগ্রোভের কাঁকড়া প্রজাতির চারা রোপণ করলেন এখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
সুমন সাহা