মাছ চাষে হলদিয়া আজ সারা দেশের কাছেই মডেল। হলদিয়া ব্লক মৎস্য দফতরের তৎপরতা এবং উৎসাহে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহায়তায় পরিবেশ বান্ধব বৈচিত্র্যময় মাছের চাষ সারা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত। ব্লক মৎস্য দফতরের পৃষ্ঠপোষকতায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ব্লকের মহিলারা মাছ চাষে যথেষ্টই এগিয়ে রয়েছে। রাজ্য ও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে হলদিয়ার মহিলা মাছ চাষি আরতি বর্মন। শুধু আরতি নয়। হলদিয়ায় মহিলারা সক্রিয় ভাবেই মাছ চাষকে আজ পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর সেই খবর পেয়েই শিল্প শহরে এসেছেন এই সংস্থা। হলদিয়ার সেই সব মাছ চাষের ফার্মে ঘুরে দেখেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন : আরও পড়ুন : হঠাৎ 'নকুলদানা' বিলি করছেন দিলীপ ঘোষ! কিন্তু কেন? 'আসল কারণ' যা বললেন....
১২ থেকে আজ ১৪ এপ্রিল, এই তিনদিন ধরে তাঁরা ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়ালেন হলদিয়ার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে। যেখানে মহিলারা মাছ চাষে যুক্ত রয়েছেন। সরকারি সহায়তায় মহিলারা স্বাবলম্বী হচ্ছে সেই সব কাহিনি ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা ক্যামেরাবন্দী করেছেন। মাছ চাষের ফার্ম ঘুরে দেখা এবং হলদিয়ার মহিলা মৎস্যজীবীদের সাক্ষাৎকার নেন তাঁরা। দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের আরতি বর্মন, সুমিত্রা মন্ত্রী- বসানচক গ্রামের বন্দিতা ভৌমিক, নন্দরানী সাহু। শিবরামনগরের অনিমা মাইতি-সহ বহু মহিলা মাছ চাষির জীবন কাহিনি ক্যামেরাবন্দী করেন। সেই সঙ্গে চাউলখোলা গ্রামের মহিলারা যে ভাবে গ্রামের পুকুরগুলিকে বৈজ্ঞানিক মাছচাষের আওতায় আনছেন এবং ব্লক মৎস্য দফতরের সাথে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন সরকারি কর্মসুচি সচেতনতা র্যালি করছেন। সে সব বিষয়ও স্থান দেওয়া হয়েছে ছায়াছবিতে। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি বলেন, হলদিয়া মাছ চাষে দেশের নজরকাড়া জায়গা নিয়েছে। এখনকার মহিলারাও মাছ চাষে এগিয়ে এসেছেন। যা সারা দেশের কাছেই দৃষ্টান্ত। আন্তর্জাতিক আই সি এস এফ- সংস্থা তাই আমাদের এই কাজকর্ম ক্যামেরা বন্দি করলেন যা সারা বিশ্বের দরবারে প্রদর্শিত হবে। এতে হলদিয়ার মানুষ খুবই খুশি।
আরও পড়ুন : "সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরুন দাদা...", নানুরে অনুব্রতের মঙ্গল কামনায় অভিনব আয়োজন অনুগামীদের
হলদিয়া ব্লকের মৎস্য চাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, এ রকম সরকারি সহায়তায় মাছ চাষের কাজকর্ম এবং মহিলা মাছ চাষিদের ভূমিকা এভাবেই আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এই প্রয়াসে হলদিয়ার মাছ চাষিদের আরও বেশি উৎসাহিত করবে। যা সরকারি প্রকল্পে প্রযুক্তিগত সম্প্রসারনের প্রক্রিয়া আরও বেশি সহায়ক করে তুলবে।
সুজিত ভৌমিক