অন্যান্য দিনের পেট্রাপোল সীমান্তর যে চেনা ছবি দেখা যায়, তা যেন আজ অনেকটাই ভিন্ন, যা সচারাচর দেখা যায় না। সীমান্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রশাসন সকলেই ব্যস্ত ভোটগ্রহণ নিয়ে, ফলে যাত্রী পরিষেবা সহ সীমান্তের কাজের ক্ষেত্রে আধিকারিক না মেলায় সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রী পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে আবারও পুনরায় যাত্রী পরিষেবা মিলবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সারাদেশে জাতীয় সংসদের ২৯৯টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা, বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ, চূড়ান্ত ফল প্রকাশ এবং নির্বাচনি বিরোধ নিষ্পত্তির মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপও রয়েছে বলে বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে। এই নির্বাচনে দেশজুড়ে ৪২ হাজারের বেশি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন প্রায় ১২ কোটি ভোটার। আর এই বাংলাদের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তাও আঁটোসাটো করা হয়েছে। তার প্রভাব এই জেলার সীমান্ত শহরেও দেখা গেল।
এই সীমান্ত পারাপারের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার ব্যবসায়ী, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় থেকে পরিবহণ, ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে আমদানি রফতনি সংস্থা, সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পরেছে বলেই জানা যাচ্ছে। সেই কারণে আজ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যারা পারাপার করতে হাজির হয়েছিলেন, তাদের কিছুটা হয়রানি হতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে তবেই আবারও সুযোগ মিলছে দুদেশের মধ্যে যাতায়াতের। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে শুল্কদফতরের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ওপার বাংলায় প্রবেশ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলেও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে।
Rudra Narayan Roy