এমন অমানবিক ছবি উঠে এসেছে মন্তেশ্বরের ঈশনা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। অভিভাবকদের প্রশ্ন, যে শিশুরা পড়াশোনার পাঠ নেবে, বুনবে স্বপ্ন, তাঁরা কেন স্কুলে এসে ‘কুলি’ হয়ে উঠছে? স্থানীয় মহিলা সেলিমা বিবি বললেন, ‘বাচ্চাদের বাজারে পাঠান প্রধান শিক্ষক। ওঁরা তো বাজার বইতে পারে না। কষ্ট করে কাঁধে নিয়ে আসে। ওঁদের কিছু হলে কি প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব নেবেন?’
advertisement
আরও পড়ুনঃ মজুরি নিয়ে বচসা, বিদ্যুৎ কর্মীর সঙ্গে বাড়ির মালিক যা করলেন…! পুরো ঘটনা জানলে শিউড়ে উঠবেন
অভিভাবকদের ক্ষোভ, পড়াশোনাকে সরিয়ে রেখে শিশুদের এভাবে খাটানো শুধু অমানবিক নয়, আইন বিরোধীও বটে। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলার অধিকার কারও নেই।
ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেননি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুমুদ রঞ্জন হাজরা। ছাত্রদের বাজার করতে পাঠানোর কথা তিনি স্বীকার করেছেন। কিছু অভিভাবক আপত্তি জানিয়েছেন। আমরা দেখছি যাতে আর না হয়। বাজারওয়ালাকে স্কুলেই বাজার দিয়ে যেতে বলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ৫ টাকাতেই ‘সুরক্ষা’! মেয়েদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, একটি ঘটনার পর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেই কি দায় মিটে যায়? বহু দিন ধরেই নাকি এই কাজ চলছে। শিশুদের জীবনের ঝুঁকি বেড়েছে, অথচ কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ ছিল কেন? এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে প্রশাসনও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মন্তেশ্বরের বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামের মানুষ বলছেন, এই ঘটনা শিশু অধিকার ও মানবিকতার বড়সড় লঙ্ঘন। বিদ্যালয় থেকে শিশুদের হাতে কলম ধরানো উচিত, সেখানে বাজারের ব্যাগ চাপিয়ে দেওয়ার চিত্র সত্যিই লজ্জাজনক।