স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকজন ছাত্র মুখ ঢেকে হঠাৎই হস্টেলে ঢুকে পড়ে। কোনও কিছু বোঝার আগেই উত্তপ্ত হয় স্কুল। তাদের হাতে ছিল উইকেট, রড, লাঠি। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে তারা ঘুমন্ত শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর শুরু করে। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন অনেকেই। আহতদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
advertisement
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষক মহলে। আহত পাঁচজন বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আহত শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় আচমকা হামলা হয়। ওরা মুখ ঢেকে এসে চরম মারধর করে। চোখে ও সারা শরীরে আঘাত রয়েছে। কোনও হুঁশ ছিল না মারধরের পর। আহতদের দাবি, এই ঘটনায় ছাত্রদের পিছনে এক শিক্ষকের প্ররোচনা রয়েছে। হামলার সময় অন্য শিক্ষকদের ঘরে আটকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও আল আমিন মিশন কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি জাকির হোসেন মণ্ডল জানিয়েছেন, “ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”