তাদের সঙ্গে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তাপস। এরপরই অনুগামীরা সিদ্ধান্ত নেন ভুরিভোজ আয়োজনের। সেইমতো ঠিক হয় রাতেই হবে খাওয়া-দাওয়া। উপস্থিত সাংবাদিকদের খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান তাপস। দুপুর নাগাদ তাপসের অনুগামীরা পাঁঠা নিয়ে এসে কাটার ব্যবস্থা করেন। নিজে বসে থেকে তদারকি করেন বিধায়ক। সন্ধ্যা হতেই একে একে অনুগামীরা আসতে থাকেন তাপসের বাড়িতে। এরপরই শুরু হয় রান্নাবান্না। রান্না করা খাবার অনুগামীদের হাতে নিজে হাতে পরিবেশন করেন তাপস সাহা।
advertisement
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাল বামেরা! বেনজির ঘটনা? প্রশ্নের মুখে সেই শিলিগুড়ি মডেল
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সম্প্রতি নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ সেই নির্দেশের পরই তেহট্টে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই তদন্তকারীদের একটি দল৷ তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও৷ তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা দিয়েই তাঁর বাড়ির মূল গেট বন্ধ করে দেন তদন্তকারীরা৷ এর পরেই তাঁর মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়৷ তার পর বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷
আরও পড়ুন: সিকিমে বন্ধ করে দেওয়া হল ছাঙ্গু লেক-না থুলা! ফের কি বড় কিছুর আশঙ্কা? চিন্তায় পর্যটকরা
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই৷ জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে হঠাৎই নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পুকুরের মধ্যে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ৷ সেই মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় সিবিআই আধিকারিকদের৷ পাম্প এনে পুকুরের জল ছেঁচে, জেসিবি মেশিন এনে, শ্রমিক লাগিয়ে পাঁক ঘেঁটে তিন দিন পর দু'টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়৷ দীর্ঘক্ষণ জলের মধ্যে থাকায় মোবাইল দুটি থেকে তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করাও কঠিন হবে৷ তাই জীবনকৃষ্ণের বাড়ির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই তাপসের বাড়িতে হানা দিয়েই তার মোবাইল নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেন সিবিআই কর্তারা৷ তবে, জীবনকৃষ্ণের মতো তাপসকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। সেই কারণেই সিবিআই চলে যেতেই বাড়িতে ভুড়িভোজের আয়োজন করেন তৃণমূল বিধায়ক।