বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ন্যাশনাল ক্যাপিটালের প্রশাসনিক এক্তিয়ার থাকবে দিল্লির রাজ্য সরকারের হাতেই। যদি একজন মন্ত্রীর নিজের দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়ার অধিকার না থাকে তাহলে প্রশাসন চলবে কি করে? .
আরও পড়ুন – Putin blamed West : পশ্চিমী দুনিয়া এখন রুশোফোবিয়ায় ভুগছে, বিজয় দিবসের ভাষণে দাবি পুতিনের
advertisement
দিল্লি প্রশাসনের এক্তিয়ার কার এই প্রশ্নে আম আদমি পার্টির সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ শুরু থেকেই। দিল্লির উপরাজ্যপাল বিকে সাক্সেনাও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসন চালাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ তুলে আসছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।
দিল্লিতে নির্বাচিত রাজ্য সরকার থাকা সত্বেও উপরাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রশ্ন তুলেছিলেন।চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি কেন্দ্রের সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, দেশের রাজধানী দিল্লি। তাই রাজধানীর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের কেজরিওয়াল সরকারের তরফে অভিষেক মনু সিংভি জানিয়ে দেন, উপরাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি প্রশাসনের দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করছে। অফিসারদের বদলির ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে থাকার ফলে তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে উপরাজ্যপাল বি কে সাক্সেনার নির্দেশ মেনে চলতে।
শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, অফিসারদের কাজের বিষয়টি তারা যে সরকারের অধীনে কর্মরত, তারা ঠিক করবে, এটাই নিয়ম। নির্বাচনে জিতে আসা দল সরকার গঠন করে। তারা নীতি প্রনয়ন করে। সেই নীতির বাস্তবায়ন অফিসারদের কাজ। তাই দিল্লি প্রশাসনের পরিচালনা রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে মত পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।