এমনিতেই রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজের জন্য বর্ধমান হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এই দুই শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।তাই অনেকের কাছেই বর্ধমান থেকে করুণাময়ী ও ধর্মতলা যাওয়ার জন্য সরকারি বাসই ছিল অন্যতম ভরসা। সেই বাস চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ায় সমস্যায় নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন: এফডি-এর পুজো উদ্বোধনে ভ্যাটের গন্ধে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী, বললেন, ‘কী গন্ধ, বাপরে বাপ’
পুজোর আগেই বর্ধমানে বাস বন্ধ করে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা (এসবিএসটিসি)-র ঠিকা শ্রমিকদের একাংশ এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। কাজের দিনে এভাবে সরকারি বাস চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। তাছাড়া এই সময় অনেকেই সরকারি বাসে বর্ধমান থেকে কলকাতায় পুজোর বাজার করতে যান। সরকারি বাসই তাদের একমাত্র ভরসা। তাঁরাও এই আন্দোলনের ফলে বিপাকে পড়েছেন।
স্থায়ীকরণ, বেতনবৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বর্ধমান ডিপোর অস্থায়ী কর্মীরা। এর জেরে পর্যাপ্ত বাসের অভাবে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা।
আন্দোলনরত অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, সংস্থার দেওয়া বেতনে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তার উপর স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে টালবাহানা চলছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় দফতরের মন্ত্রী, সংস্থার চেয়ারম্যানকে জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
বর্ধমানে নবাবহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে ধর্মতলা ও করুণাময়ী রুটের সরকারি বাস চলাচল করে। অস্থায়ী কর্মীদের বেশিরভাগ অংশই আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় বাস চলাচল বৃহস্পতিবার থেকে অনিয়মিত হয়ে রয়েছে। বেশিরভাগ বাসই সময়ে চলাচল করেনি। তার ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
হঠাৎ করে এই আন্দোলন শুরু হওয়ায় বাস কমে গিয়েছে। সময়ের অনেক দেরিতে বাস ছাড়ছে। তার ফলে সময়ে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানো যাচ্ছে না।