গতকাল দিনভর বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়ন্তিকার সঙ্গী ছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এলাকার চৌশাল উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে বেরিয়ে আসার সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ সায়ন্তিকার গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি’তে দিতিপ্রিয়া, এবার বাবার ভূমিকায় কৌশিক, সৌরভের সিরিজে কণীনিকা-অর্জুনও
advertisement
দীর্ঘদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দলের অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক সভাপতি দলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁদের ডাকেন না। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বোধ হয় সায়ন্তিকার। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে এলাকা ছাড়তে হয় সায়ন্তিকা-সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীদের।
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কে ভয়ানক ক্ষতির আশঙ্কা ছিল! হেমাটোমার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হন কাঞ্চনা
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্ষোভ বিক্ষোভ কিছু হয়নি। একটি পরিবারে থাকতে গেলে কারও মান, অভিমান বা ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু দিনের শেষে আমরা একই পরিবারে থাকব। এর সুযোগ বিজেপি নিতে পারবে না।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দাবি, দল বড় হয়েছে, এমন একটু আধটু হতেই পারে, দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে। বিজেপির দাবি, ‘‘তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। তাই কর্মীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এটা তৃণমূলের অশনি সঙ্কেত।’’
প্রিয়ব্রত গোস্বামী