তবু নিজের খরচে বাড়ি থেকে কখনও ১২০ কিলোমিটার দূরে গিয়েও সাপ উদ্ধার করেছেন। যখনই ফোন আসে তখনই ছুটে যান তিনি, তার কাছেই শুধুমাত্র লক্ষ্য থাকে যে কোনও উপায়ে সাপটিকে রক্ষা করতে হবে। এমন এক সাপ প্রেমীর ভাবনা ও উদ্যোগ অবাক করবে।
আরও পড়ুন – PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির মুকুটে নতুন পালক, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান প্রদান
advertisement
হাতে দেব-দেবী কিংবা পরিচিত মানুষদের ছবি নয়, তার হাতেই আঁকা সাপের ট্যাটু। মেদিনীপুরের বাসিন্দা তিনি। নাম দেবরাজ চক্রবর্তী। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে নয়, মেদিনীপুরের পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর তৎসহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশাতেও তার পরিচিতি রয়েছে। সম্প্রতি বাড়ি থেকে প্রায় একশো কুড়ি কিলোমিটার দূরে ওড়িশার বাংরিপোসিতে গিয়ে উদ্ধার করেছেন ১২ ফুট প্রমাণ সাইজের কিং কোবরা। এছাড়াও প্রতিদিন একাধিক সাপ উদ্ধার করে তিনি তার শুশ্রূষা করে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। মূলত সাধারণ মানুষের হাত থেকে একটা প্রাণকে রক্ষা করার দায়িত্ব যেন তার। বাড়ি থেকে কখনও ৫০ কিলোমিটার কখনও আবার ৬০ কিংবা ৭০ কিলোমিটার চলে যান তিনি। উদ্ধার করেন বিভিন্ন বিষধর সাপ, তবে তার যাতায়াত খরচ কিংবা অন্যান্য খরচ বাবদ উপার্জন শূন্য। নিজের কষ্টার্জিত অর্থে চলে তার এই পরিবেশ প্রেম।
ছোটবেলায় টিভি শো’তে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি। যেভাবে একজন অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলেন বাড়ির লোক তেমনই কখনও জালে আটকে যাওয়া আবার কখনও বাড়ির মধ্যে থাকা বিষধর সাপকে উদ্ধার করে তিনি মুক্ত করেন। এখানেই ক্ষান্ত হন না দেবরাজ, মানুষকে সেই সাপ সম্পর্কে সচেতন করেন। মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সাপ মেরে ফেলেন, কিন্তু দেবরাজ মানুষকে বোঝান। এছাড়াও যতক্ষণ পর্যন্ত সাপটিকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব ততক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে যান নিজেই।
বাড়ি থেকে এত দূর গিয়ে একটা সাপ উদ্ধার করে তার প্রাণ রক্ষা করতে যে খরচ হয় তা তিনি নিজেই বহন করেন। নিজের উপার্জনের টাকায় চলে তার এই পরিবেশের জীব রক্ষার কাজ। প্রতিমুহূর্তে থাকে জীবনের ঝুঁকি। তাও নিজের শখের বসে এবং একটা প্রাণ রক্ষার উদ্যোগ নিয়ে তার এই কাজ করে যাওয়া। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
Ranjan Chanda