আরও পড়ুন: 'এ জয় মানুষের জয়', ট্যুইট-বার্তায় শুভেচ্ছা মমতার, 'উপনির্বাচনেও মানুষ বেছেছে উন্নয়ন'!
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee Rejoins TMC) বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া (Saumitra Vs Sujata On Rajib Banerjee) দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তিনি বলেন, ‘চা খাচ্ছি, চা খেয়ে নিয়ে ভাঁড়টা ফেলে দেব। রাজীব দার পরিস্থিতিও চায়ের ভাঁড়ের মতো। রাজীব দা রাজনীতি এখনও বুঝতে পারছেন না। ওনাকে অনেকবার বলেছি Cerelac খেতে।”
advertisement
সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘যারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, তাঁদের কী অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। চা খাওয়ার আগে যেমন ভাঁড়টিকে যত্ন করে রাখা হয় আর চা খাওয়া হয়ে গেলে ভাঁড় ফেলে দেওয়া হয়, রাজীব দার অবস্থা তেমন হবে।” সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Vs Sujata On Rajib Banerjee) রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকাকালীন হওয়া দুর্নীতির কথা টেনে এনেও ওনাকে তুলোধোনা করেন।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে তৃণমূল চারে চার! মহুয়া ম্যাজিক সঙ্গী করে মমতাকে শান্তিপুর উপহার ব্রজকিশোরের...
তবে শুধু সৌমিত্র খাঁ না, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee Rejoins TMC) আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। এমনকি তিনি এও অভিযোগ করেছেন যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা নাকি দুবাইতে খাটে।
অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁর (Saumitra Vs Sujata On Rajib Banerjee) মন্তব্যেরই পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তৃণমূল কংগ্রেসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেরা প্রসঙ্গে সোমবার তোপ দাগেন সুজাতা। তবে বিজেপিকে কেন্দ্র করেই নিশানা বানিয়েছেন সুজাতা।
আরও পড়ুন: শোচনীর ফল, মন্ত্রী নিশীথের বুথেও গো হারা হারল বিজেপি! রেকর্ড উদয়নের...
সোমবার সুজাতা খাঁ (Saumitra Vs Sujata On Rajib Banerjee) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আজ যা ভাবি দুনিয়া কাল তা ভাবে। আমি আগেই বলেছিলাম একে একে সবাই তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে আসবে। রাজীবাবু তো এলেন। আরও কী কী হয় দেখা যাবে। পদ্মই যদি পদ্মবন ছেড়ে আসেন তাহলে বোঝাই যায় পাঁকে কত গন্ধ! রাজীবের আর এক অর্থ তো পদ্ম। তাই না!’
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি ত্যাগ গেরুয়া শিবিরকে কার্যতই বড় ধাক্কা দিয়েছে। কারণ তাঁকে সর্বভারতীয় কমিটিতে নেওয়ার পরও তিনি দল ছেড়েছেন। এখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি থেকে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁকে কটাক্ষ করলেও বাস্তবে একজন নেতা কমে গেল গেরুয়া শিবিরে। একুশের নির্বাচনে পরাজিত হলেও রাজীব বন্দ্যোপধ্যায়ের ভাবমূর্তি যথেষ্ট উজ্জ্বল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয়ে সৌমিত্রকে সুজাতার খোঁচা, ‘বিষ্ণুপুরে সেভাবে তো বিজেপির আর কোনও জায়গা নেই। সংগঠনের আর অবশিষ্ট কিছু নেই।’