ডায়মন্ড হারবারকে সবুজে মুড়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই নিরন্তর কাজ করে চলেছেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ। ডায়মন্ড হারবার ফকির চাঁদ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরাও সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। কলেজের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়সের অনুপাতে পড়ুয়ারা একটি করে গাছ লাগায়।
advertisement
এহেন পরিস্থিতিতে সত্যনারায়ণ ডায়মন্ড হারবারে এসে পৌঁছালে, ফকিরচাঁদ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁকে কলেজে নিয়ে আসেন। কলেজের মূল ফটক থেকে কাঁধে ঝুরি ভরা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহনকারী তুলসী-সহ বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে তিনি কলেজে প্রবেশ করেন।
শুধু কলেজ প্রাঙ্গণ নয়, ডায়মন্ড হারবারের নদীর পাড়-সহ আরও একাধিক জায়গায় গাছ লাগাবেন তিনি। জানা গিয়েছে, সত্যনারায়ণ পেশাগতভাবে ছিলেন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু নেশায় তিনি সোশ্যাল এনভাইরমেন্ট চেঞ্জার। নামী সংস্থার চাকরিজীবী হলেও আসলে এনভাইরমেন্ট অ্যাওয়ারনেস-ই ছিল তার সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস গাইডলাইন্সের মূল ভিত্তি। এই নেশায় নামী সংস্থায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উচ্চপদস্থ চাকরি ছেড়ে তিনি নেমে পড়েছেন এক নতুন যাত্রায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি পৌঁছাচ্ছেন।
সত্যনারায়ণ বাবুর আন্তরিকতায় মুগ্ধ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে কর্মচারী সকলেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পশ্চিম থেকে পূর্ব – দেশের যে প্রান্তেই যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন সবুজের বার্তা। শুধু চারা বিতরণই নয়, তিনি নিজে মাটি কোপাচ্ছেন, চারা লাগাচ্ছেন, আবার সবুজের স্বাচ্ছন্দ ফেরাতে নিজের হাতে গাছে জলও দিচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সুদূর কলিঙ্গ থেকে বঙ্গে এসে এই গাছ বসানোয় খুশি ফকিরচাঁদ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও। এ নিয়ে ফকিরচাঁদ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নৈঋত রায় জানিয়েছেন, এ ঘটনা সকলের কাছে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাঁরাও বৃক্ষরোপণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। ফলে সত্যনারায়ণ দাসকে সবরকম সহযোগিতা করেছেন তাঁরা।





