রাজ্যের শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসিকে বলা হয় শস্যগোলা প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয় এছাড়াও মঙ্গলকোট,কেতুগ্রাম, কালনা, কাটোয়া,মেমারি,খণ্ডঘোষ সহ জেলার বেশিরভাগ অংশেই ব্যাপক পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়। সেই ধান সহায়ক মূল্যে বিক্রি করার সময় যথেষ্টই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় কৃষকদের।
আরও পড়ুন: হদিশ মিলল অবশেষে, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির জন্য দিল্লিতে মানিক ভট্টাচার্য!
advertisement
এতদিন ধান বিক্রি করার দিন পাওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠতো। আগাম ডেট পেতেই নাজেহাল হতে হতো কৃষকদের। অনেক সময় গাড়ি ভাড়া করে ধান নিয়ে যেয়েও ফিরে আসতে হতো। খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা বলছেন,সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা ও হয়রানি কমাতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের বদলি নিয়ে বড় খবর! ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসশ্রী পোর্টালে বদলি স্থগিত, আসছে নির্দেশিকা
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক সিপিসি-তে কোটা অনুযায়ী অন লাইনে আবেদনের ভিত্তিতে চাষি ধান বিক্রির সুযোগ নিতে পারবেন। চাষিরা যাতে এই সুবিধা পান তার জন্য বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য খাদ্য দফতর সিপিসি(সেন্ট্রালাইজড প্রোকিওরমেন্ট সেন্টার) খোলে। প্রান্তিক চাষিরা সেখানে গিয়ে ধান বিক্রি করেন। এছাড়া আরও নানা মাধ্যমে ধান বিক্রির সুযোগ রয়েছে চাষিদের। চলতি খরিফ মরশুমের তুলনায় এবার সহায়ক মূল্য প্রায় ১০০টাকা বাড়িয়েছে সরকার।
চাষিদের সিপিসিতে ধান বিক্রির জন্য প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। পরে সিপিসি-তে গিয়ে ধান বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট তারিখ নিতে হয়। চলতি বছর পর্যন্ত এই নিয়মেই চাষিরা ধান বিক্রি করেছেন। এতে চাষিদের হয়রান হতে হতো। শুধুমাত্র ধান বিক্রির তারিখের জন্য চাষিদের সিপিসি-তে গিয়ে ঘুরে আসতে হতো। সেখানে দীর্ঘ লাইনে তাঁদের দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এক্ষেত্রে চাষিরা স্বজন-পোষণ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগও তুলছিলেন। এই নিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির প্রক্রিয়া আরও কৃষক সহায়ক করতেই এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছে খাদ্য দফতর।
