আরও পড়ুন: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেই হতে পারবেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সম্প্রীতির অংশ
সীমান্ত লাগোয়া সুন্দরবনের বরুণহাট হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিঙ্কি সাঁতরা। ঘরের পাশেই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াজাল। ইছামতীর তীরে এক চিলতে জরাজীর্ণ মেঠো ঘর। বাবা শ্রীকান্ত সাঁতরা পেশায় মৃৎশিল্পী। সেই কাজ করে কোনক্রমে সংসার চালান। অভাবের সংসারে পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে বাবার সঙ্গে সুনিপুণভাবে প্রতিমা তৈরিতে ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠেছে রিঙ্কি।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুন্দরবন অঞ্চলে ইছামতীর তীরে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা রিঙ্কি কাদামাটি নিয়ে খেলতে খেলতে বেড়ে উঠছে। পরিবারে কখনও সে স্বচ্ছলতা দেখেনি, কিন্তু বাবার লড়াইয়ের সঙ্গী হতেও ভোলেনি। সে এক সময় নদীর মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে ছোট্ট মূর্তি তৈরি করত। তারপর আগ্রহ বেড়ে যায়। এভাবে প্রথম অবস্থায় মূর্তি ভাঙা গড়ার পর একসময় পেশাদারের মত মূর্তি তৈরি করতে শুরু করেছে। এখন ছোট থেকে বড় সব প্রতিমাই অনায়াসে তৈরি করে ফেলছে এই ক্ষুদে শিল্পী। ইছামতি নদীর এঁটেল মাটি, বিচুলি, বাঁশের ছাঁচ দিয়ে তৈরি করে ফেলেছে বাগদেবী। পেশাদার শিল্পীর মতই মৃন্ময়ী রূপ পেয়েছে তার হাতে গড়া প্রতিমা। এর আগে কালী, বিশ্বকর্মা থেকে কার্তিক, গণেশ সবই এই খুদে শিল্পীর হাতে রূপ পেয়েছে। এভাবেই রিঙ্কির শিল্পী স্বত্তা ছড়িয়ে পড়ছে সুন্দরবন এলাকাজুড়ে।
জুলফিকার মোল্লা