উচ্চ মাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভাল ফলাফল করায় ডাক্তার হয়ে ওঠা তাঁর। আর সেই সুবাদেই দুর্দান্ত কেরিয়ার গ্রাফ। বনগাঁ হাই স্কুলের সেই মেধাবী ছাত্রই এখন আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত হয়ে সিবিআই-এর নজরবন্দি। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সেই সন্দীপকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘অডিটোরিয়ামে ডেকে এক এক করে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিত’! গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক-সহ ১১
advertisement
বনগাঁর স্থানীয়দের দাবি, ১৯৮৯ সালে প্রায় ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তৎকালীন বনগাঁর বাসিন্দা সন্দীপ ঘোষ। প্রথমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও, নবম ও দশম শ্রেণিতে অন্য একটি স্কুলে যান। পরবর্তীতে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবারও ভর্তি হন বনগাঁ হাই স্কুলে। সেখান থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারিতে সুযোগ পান বিজ্ঞানের মেধাবী এই ছাত্র।
আরও পড়ুন: দেশের সেরা মেডিক্যাল কলেজ কোনগুলি? তালিক প্রকাশ NIRF-এর, দেখুন প্রথম ৫ কারা
তবে, সেদিনের সন্দীপ, প্রাক্তন সহপাঠীদের কাছে নোটনের মতো ভাল ছেলের বিরুদ্ধে যে এমন অভিযোগ উঠবে তা যেন এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। বিস্মিত সকলে। এখন আইনের উপর ভরসা রেখে স্কুলের প্রাক্তনীরা সকলেই একমত যে, এমন নারকীয় ঘটনার সঙ্গে ডা সন্দীপ ঘোষের কোনও যোগ প্রমাণিত হলে, স্কুলের মেধাবী ছাত্রদের নামের ফলক থেকে মুছে ফেলতে হবে তাঁর নাম। আর যদি দেখা যায় নির্দোষ সে, তবে বন্ধুকে আবারও সেলাম জানিয়ে জড়িয়ে ধরবেন বনগাঁ হাইস্কুলে তাঁর এক সময়ের প্রাক্তনীরা।
Rudra Narayan Roy