তবে সন্ধ্যার শুরুটা মসৃণ ছিলনা। পাড়া ,প্রতিবেশী অনেকেই অনেক কিছু বলত। তবে সেই সব কিছু পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন সন্ধ্যা। ২০১৬-১৭ সালে সুন্দরবন কাপে প্রথম বড় খেলার সুযোগ পান সন্ধ্যা।
সেখানে তাঁর দক্ষতা নজর কাড়ে সকলের। পরের বছর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জয়ী দলের সদস্যদের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তখন থেকেই সন্ধ্যার জেদ আরও বেড়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- ইশারাই করতে থেকে গেলেন গিল, জাদেজা কিন্তু শুনলেন না ! স্ত্রী রিভাবা কী বললেন?
বর্তমানে সন্ধ্যা সাগর থানায় কর্মরত। কাজ সামলে নিয়মিত অনুশীলন করেন। এরমধ্যেই তাঁর কাছে সুযোগ আসে ইস্টবেঙ্গল মহিলা টিমে খেলার। ইন্ডিয়ান উইমেনস কাপ ও কন্যাশ্রী কাপেও খেলেছেন তিনি।
অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন সন্ধ্যা। সন্ধ্যার বাবা সুশান্ত মাইতি মাছ বিক্রি করেন। মা পার্বতী ঘর সামলান। এর মধ্যে থেকেই ফুটবলের প্রতি ভালবাসায় জড়িয়ে পড়েন সন্ধ্যা।
ছোটবেলায় মামার হাত ধরে মাঠে যেতেন সন্ধ্যা। খেলতেন ছেলেদের সঙ্গে। বর্তমানে সন্ধ্যা স্থানীয় মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করেন। এ নিয়ে সন্ধ্যা জানিয়েছেন, “সাফল্য সহজে আসেনা। সেজন্য অনুশীলন করতে হয়। আমি চাই আমার মত আরও মেয়েরা এগিয়ে আসুক।\” সাগরে একটি ফুটবল ক্যাম্প করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফুটবল খেলে ভবিষ্যতে আরও বড় জায়গায় যেতে চায় সন্ধ্যা, সেই লক্ষ্যেই সবরকম কাজ করতে যান তিনি।
নবাব মল্লিক