এই পুজো শুরু করেছিলেন জমিদার হাটুরাম। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে এই পুজোর সূচনা হয়। সমস্ত নিয়মবিধি মেনে আজও এখানে পূজিতা মা দুর্গা। তবে এই পুজোর বিশেষত্ব হল পুজোর চারদিন কোনও বলিদান হয় না মণ্ডপে। তার পরিবর্তে সন্ধিপুজোর দিন জমিদার বাড়ির বংশধররা গান ফায়ার করে সন্ধিপুজো শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ মোমো খেয়ে রাতের জন্য নিয়ে যান বিরিয়ানি প্যাকেট, মাত্র ১৩৮ টাকায় মিলছে কম্বো
advertisement
বাড়ির সদস্য গৌতম মুখোপাধ্যায় জানান, সপ্তমীতে মা দুর্গাকে ফল, মিষ্টি, লুচি, পায়েস দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। অষ্টমীর দিন লুচি, মিষ্টি দিয়ে ভোগ এবং নবমীর দিন বিভিন্ন রকমের ভাজা সবজি অন্ন দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে। বৈষ্ণব মতে, প্রায় ৩০০ বছর ধরে এখানে মা দুর্গার পুজো হয়।
তবে কেন সন্ধিপুজোর দিন গান ফায়ার করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এই বাড়িতে কোনও বলিদানের প্রথা নেই। তাই প্রাচীন নিয়ম মেনেই এই ফায়ার করা হয়ে থাকে। সন্ধিপুজোর দিন গোটা গ্রামের লোক ভিড় করেন এই বাড়ি পুজোর বিশেষত্ব গান ফায়ার দেখতে। শুধু দুর্গা মণ্ডপ রয়েছে সেটি নয়, তার বাইরেও রয়েছে কালী, নারায়ণ শিব ধর্মরাজ ঠাকুরের পুরনো মন্দির।
সৌভিক রায়