জানা গিয়েছে ওই স্কুলে বর্তমানে শিক্ষাবিজ্ঞান, ভূগোল , সংস্কৃত, অঙ্ক, সোশাল সায়েন্স -এর শিক্ষক নেই৷ গ্রামীণ এই স্কুলে আপাতত দরকার ভূগোল ও শিক্ষাবিজ্ঞানের শিক্ষক । তবে বাকি বিষয়েরও শিক্ষক প্রয়োজন হবে ক্লাস শুরু হলে ৷ উচ্চমাধ্যমিক এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্যই এই শিক্ষক নিয়োগের বিয়য়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলের পরিচালন কমিটি ।
advertisement
তবে যোগ্য শিক্ষক বা শিক্ষিকাই যে নিয়োগ করা হবে, সেই মর্মে আশার বাণী শুনিয়েছেন স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি । বীরভূমের অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকরা ব্যাপারটিকে নিয়ে আলোচনা করলেও স্কুলের ফান্ডের অবস্থার বিষয়েও তারা স্কুলের পাশে দাঁড়িয়েছে । অন্য তবে বিএড পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা সাম্মানিকের অঙ্ক নিয়ে নিজেদের অপমানিত বোধ করেছেন । ২৭ জুন অবধি এই পদগুলির জন্য আবেদনের শেষ তারিখ থাকায় অনেকেই আসছেন আবেদন করতে স্কুলে । তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত ব্যাপারটিই শিক্ষা দফতরের গোচরে এনেই করছে বলে তাঁদের দাবি।
আরও পড়ুন : নতুন মাছের ঝাঁক বাজারে ঢুকতেই কমেছে দাম, এ বার ইলিশেই মজবে রবিবাসরীয় ভোজ?
সাঁইথিয়ার জিউই তরঙ্গিনী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শোভন মণ্ডল বলেন, ‘‘ নম্বরের ভিত্তিতে এই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে । আবেদনের শেষ তারিখ ২৭ জুন । তার পরই স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত ।’’ পরিচালন কমিটির সভাপতি জ্যোতির্ময় মন্ডল বলেন , ‘‘ বর্তমানে আমাদের স্কুলে অনেকগুলো বিষয়ে শিক্ষক নেই । যেহেতু আমাদের পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ স্কুল, তাই যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, আমরা আমাদের দুটো বিষয়ের শূন্য পদে বেতন নয়, সাম্মানিক ভাতা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করতে চাইছি । এই সাম্মানিক ভাতা স্কুলের ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে আমরা দেব ।’’
আরও পড়ুন : আপনার এই স্বভাবের জন্যই শরীরে বন্ধ্যাত্ব বাসা বাঁধছে না তো? সতর্কতা নিন এখনই
আবেদনকারী লিপিকা সরকার বলেন , ‘‘এখন যেহেতু কোথাও শিক্ষক নিয়োগ নেই তাই এই কম বেতনেই যাতে আমরা কিছু করতে পারি সেই আশা নিয়েই আজ আমি সাঁইথিয়ার জিউই তরঙ্গিনী উচ্চবিদ্যালয়ে আবেদন করতে এসেছি৷’’
আরও পড়ুন : মহিলাদের সুস্থতা আর পুরুষদের মৃত্যুভয়! জগিং নিয়ে একই যাত্রায় পৃথক ফল?
বিএড পাশ ছাত্রী তানিয়া প্রামাণিক বলেন, ‘‘একজন শিক্ষকের বেতন ১৫০০ টাকা, একজন শিক্ষক হিসেবে এ আমার কাছে খুবই অসম্মানজনক।’’ সিউড়ি বেণীমাধব স্কুলের শিক্ষক অরুণ দাস বলেন, ‘‘ একজন শিক্ষকের বেতন ১৫০০ টাকা সত্যিই অনেক সামান্য , এর থেকে একজন দিনমজুরের বেতন বেশি।’’ বীরভূমের ডিআই (সেকেন্ডারি) চন্দ্রশেখর জাউলিয়া বলেন , ‘‘ আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এই নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি এসে পৌঁছয়নি । তবে কোনও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক না থাকলে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের ফান্ড থেকে বেতন দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে । এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি আমি ।’’