রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাপ্রচ রোডের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে রাজ্য সরকারের এই টেন্ডার কোন কোম্পানি নিতে রাজি হয়নি। এর ফলে হতাশ হয়ে পড়েছিল সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা। সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা তারা স্বপ্ন দেখেছিল মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সাগরদ্বীপ কিন্তু টেন্ডার কোন কোম্পানি না নেওয়ায় সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা হতাশ হয়ে গিয়েছিল। স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছিল সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের।
advertisement
ফের নতুন করে আশার আলো রাজ্য সরকারের এই টেন্ডার নিল একটি কোম্পানি। মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রকল্পের কাজ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। কয়েক বছরের মধ্যে সুসম্পন্ন হয়ে যাবে মুড়িগঙ্গা সেতু। ফলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে সাগরদ্বীপ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর ভেসেলের জন্য দাঁড়াতে হবে না পুণ্যার্থীদের। এবার নদী পথে নয় আনায়াসে সড়কপথে পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরা অনায়াসে পৌঁছে যাবে গঙ্গাসাগরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পের দায়িত্ব পেল বিশ্বের অন্যতম নামকরা সংস্থা LARSEN &TOUBRO (L&T)। ফলে সেতু নির্মাণের কাজ নিয়ে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের মনে আশা আলো সঞ্চার হয়েছে।
দ্বীপবাসীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। চলতি বছরে রাজ্যের বাজেটে গঙ্গাসাগরের সেতু নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিকভাবে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেন তিনি। তবে এর আগে পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী না থাকায় টেন্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছে। থমকে গিয়েছিল সেতু নির্মাণের কাজ থমকে গিয়েছিল দ্বীপ বাসীর স্বপ্ন। এ বিষয়ে অসীম কুমার দাস তিনি জানান, অবশেষে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে আমরা খুব খুশি। এর আগেও বেশ কয়েকবার টেন্ডার হয়েছিল এই টেন্ডারে কোন অংশগ্রহণকারী কোম্পানি না থাকায় টেন্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছিল অনেক বিভ্রান্তি সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল যে গঙ্গাসাগর সেতু আর হচ্ছে না। আমরা হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু এই টেন্ডার ঘোষণার পর আমরা ফের আশার আলো দেখছি। অবশেষে ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।
আরও পড়ুনঃ রোজ ঘি খাচ্ছেন? কতটা খেলে শরীরের উপকার? কতটা খেলে ক্ষতি করে? জানুন বিশেষজ্ঞের মতামত
এ প্রসঙ্গে, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি বলেন, টেন্ডার বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিরোধীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছিল যে গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণ হবে না। সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন টেন্ডার প্রকাশ হয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজের জন্য একটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে এই সেতুর জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ থেকে সাগরের কচুবেরিয়া পর্যন্ত মুড়িগঙ্গা নদীর উপর দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে দীর্ঘ চার বছরের মধ্যে এই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে ওই নির্মাণকারী সংস্থার। ইতিমধ্যেই মুড়িগঙ্গা নদীতে সেতুর নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা টেন্ডার পাওয়ার পর সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে খুশির হাওয়া। আগামী চার বছরের মধ্যে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে সাগরদ্বীপ স্বপ্ন পূরণ হবে কয়েক হাজার দ্বীপবাসীর।