তবে প্রশিক্ষকদের কথায়, ড্রাইভিং দক্ষতা অর্জনের জন্য ব্যবহারিক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ অত্যন্ত অবশ্য দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। সড়ক নিশ্চিত করতে ও দুর্ঘটনার সংখ্যা হ্রাস করতে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল-এ ভর্তি হয়ে দক্ষ চালক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন। সড়ক ব্যবহারের সঠিক নিয়মকানুন এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে আমাদের রাস্তাগুলি অনিরাপদ। অধিকাংশ চালক ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কিছুই জানে না। যার কারণে ঘটে চলে দুর্ঘটনা। প্রাণ যায় পরিবারের সদস্যদের।
advertisement
আরও পড়ুন: বাসি মেখে রাখা আটা দিয়ে গুনে গুনে রুটি বানান? চরম সর্বনাশ! জ্যোতিষীর মত জানলে ভয় হবে
মোটরযান আইনে গাড়ি চালানো শেখার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। নথিভুক্ত ড্রাইভিং স্কুল থেকে প্রথমে গাড়ি চালানো শিখতে হয়। কেউ নিজের গাড়ি নিয়ে শিখতে চাইলে পাশে স্থায়ী লাইসেন্সধারী চালক থাকা বাধ্যতামূলক। শেখার পরে শিক্ষানবিশ চালককে লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষা দিতে হয়। সেটি পেলে গাড়ির সামনে ও পিছনে ‘এল’ বোর্ড লাগাতে হয়। সূর্যাস্তের পরে লার্নার লাইসেন্সধারী চালকের গাড়ি বা মোটরবাইক চালানো নিষিদ্ধ। সূর্যাস্তের আগে গাড়ি চালাতে হলে সঙ্গে স্থায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক থাকা বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন: হাতে লাঠি! মুখে বাঁশি! ট্রাফিক সামলে চলেছেন একা হাতে! জানেন এই মহিলা কে?
লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার পরের ৩০ দিন নিয়মিত সরকারি মোটর ট্রেনিং স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা। লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে গাড়ি চালানোর চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েই পাকা লাইসেন্স পাওয়া যায়। অন্যদিকে, নিদিষ্ট নিয়ম মেনে প্রশিক্ষণ নিলে জীবনে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সংখ্যাও কম হতে পারে। ফলে নিরাপদে গাড়ি চালানো প্রশিক্ষণ নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে লাইসেন্স পেলেই গাড়ি চালাতে পারবেন চালকরা।
কৌশিক অধিকারী