সামর্থ্য অল্প, কিন্তু ইচ্ছে অনেক বড়। সামান্য মুদি দোকান চালিয়ে চলে যেটুকু পয়সা রোজগার হয়, তাতে সংসার সামলে চলে তার এই সচেতনতার পাঠ দেওয়া। বিভিন্ন সময়ে কবিতা লিখে, বিভিন্ন জায়গায় চিটিয়েছেন তিনি। শীতকালীন সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং মানুষকে পথ নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করতে কবিতা লিখেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের মোগলমারী এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত চন্দ। ৫০ পেরোনো এই ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে কবিতা লিখে বিভিন্ন দেওয়াল, রাস্তার মোড়ে চিটিয়ে দেন, যাতে দু-একজন মানুষ পড়ে, একটু সচেতন হয়। সকাল থেকেই বাড়িতে লাগানো একাধিক ফুলের গাছের পরিচর্যা করেন, এরপর লিখতে বসেন কবিতা। দোকান সামলে সচেতনতার সেই দু লাইনের কবিতা লিখে বিভিন্ন জায়গায় চিটিয়ে দেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির ছাদের উপর অ্যাম্বাসেডর কেন? কী করে নামাবে? ফুলবাড়ির রাস্তায় নিশ্চয় দেখেছেন! কারণ চমকে দেবে
পথ নিরাপত্তা বিষয়ে তার কবিতা যেমন, “দিকে দিকে বাড়ছে দুর্ঘটনা দেখেও চালক কেন মানছে না কিংবা বাইক চালকদের করি আহ্বান হেলমেট পরে সবাই বাইক চালান” – এমনই দু’লাইনের বেশ কয়েকটি কবিতা লিখে তিনি মানুষকে সচেতন করছেন। প্রসঙ্গত গাঁটের কড়ি খরচ করে চলে তার এই সচেতনতার পাঠ দেওয়া। একাধিক জায়গায় কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তবে থেমে থাকেননি। লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন প্রশান্ত বাবু। দোকান সামলে তিনি মানুষকে সচেতন করে চলেন। অসচেতন বাইক আরোহীকে পথ আটকে বোঝান হেলমেট পরার গুণ এবং তার সুফল সম্পর্কে।
একাধিকবার তাকে পাগল বলে সম্বোধন করেছে লোকে। তবে এই পাগলের পাগলামি নিছকইপাগলামি নয়। এই পাগলামি মানুষের জীবন বাঁচায়। নাম না জানাঅখ্যাত এই কবির কবিতা মানুষকে প্রাণ ফিরে দেয়। প্রশান্ত বাবু এই মহতী উদ্যোগকে কুর্নিশ আমাদেরও।
রঞ্জন চন্দ